সাকিব আল হাসানের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলা নিয়ে অনেক নাটকই হয়েছে। জাতীয় দলের খেলা থাকলেও ছুটি নিয়ে তিনি খেলতে যান ভারতীয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগে। এনিয়ে ঢের সমালোচনা হয়েছে। তবে মুস্তাফিজুর রহমান অনেকটা নির্বিঘ্নে খেলেছেন। আর সাফল্যও পেয়েছেন। কিন্তু করোনা শঙ্কা আর জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে যাওয়ায় আইপিএল মাঝ পথে স্থগিত যাওয়ায় দেশে ফিরে এসেছেন তারা।
আবারও এই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ শুরু হতে যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে আইপিএল ফের শুরু হবে। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের আইপিএল হলে বিদেশি তারকাদের টুর্নামেন্ট পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব-মুস্তাফিজ- দুজনেরই জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্ট থাকায় বিসিবি ছাড়বে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এনিয়ে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন মুখ খুলেছেন।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডও সেপ্টেম্বরে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলির জন্য ক্রিকেটারদের ছাড়বে না। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে প্যাট কামিন্স খেলতে যাবেন না। অন্যরাও অনিশ্চিত।
ঠিক তখনই জানা গেলো। বাকি অংশে না খেললে কেটে নেওয়া হবে সাকিব-মুস্তাফিজদের পারিশ্রমিক। বিসিসিআইয়ের এক বোর্ড কর্তা জানিয়েছেন, বিদেশি ক্রিকেটাররা আমিরাতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি খেলতে না গেলে, তাদের বেতন কাটা যাবে।
এমনিতে আইপিএলের চুক্তিতেই আছে- কোনও ক্রিকেটার দলের সঙ্গে থাকাকালীন চোট পেলেও তাকে পুরো অর্থ দেওয়া হবে। বিসিসিআই কোনও কারণে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে ব্যর্থ হলেও তারা চুক্তির পুরো অর্থ পেয়ে যাবেন। তবে যদি ক্রিকেটাররা কোনও কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ান, তবে যতগুলি ম্যাচে তারা দলের সঙ্গে ছিলেন, সেই অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেওয়া হবে তাদের।
চুক্তি অনুযায়ী যে টাকা ছিল তা কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তা বলেনন, ‘ যদি কোনও কারণে বিদেশি ক্রিকেটাররা আমিরাতে আইপিএল খেলতে না যান, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চুক্তি অনুযায়ীই তাদের পারিশ্রমিক কেটে নিতে পারে। যতগুলো ম্যাচ তারা দলের সঙ্গে ছিলেন, সেই অনুযায়ী অর্থ দেওয়া হবে।’
৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেন সাকিব। ১ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজকে কিনে নেয় রাজস্থান। বাকি অংশে দুজন না খেললে পাবেন অর্ধেক অর্থ।
Discussion about this post