নিজ নামেই পরিচিত তিনি। রংপুরে দীর্ঘদিন ধরেই করেছেন সাংবাদিকতা। কিন্তু খেলার জগতে তার পরিচয়- তিনি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভর বাবা। সেই সাংবাদিক রশীদ বাবু আর নেই। বাবা হারালেন জাতীয় ক্রিকেট দলের এক সময়ের তারকা শুভ। শনিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে রশীদ বাবুর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তার ছোট ছেলে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভ। আর বড় ছেলে ইসমাইল হোসেন প্রিন্স যুমনা টেলিভিশনে রংপুর প্রতিনিধি। ১৯৫৩ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন রশীদ বাবু। চলতি বছরের মার্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অস্ত্রোপচার করা হয়।
গত শনিবার ভোরে শাওয়ালের রোজা রাখতে সাহরি করে ফজরের নামাজ আদায় করেন তিনি। এরপরই অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। রশীদ বাবু রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রংপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতিও ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে জুম্মাপাড়া করীমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ, নাট্য সংগঠন শিখা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক রোটারিয়ান ছিলেন।
৭০ দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন রশীদ বাবু। বিনোদন কাগজ চিত্রালী পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে লেখালেখির শুরু তার। তারপর দৈনিক দিনকাল, বাংলাবাজার, ঢাকার ডাকসহ বিভিন্ন পত্রিকাতে কাজ করেন তিনি। সবশেষ তিনি রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক দাবানল এর স্টাফ রিপোর্টার ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার রংপুর ব্যুরো প্রধান ছিলেন বাবু।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সোহরাওয়ার্দী শুভর বাবার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।
Discussion about this post