এ মাসেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। ২৩ মে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। পরের দুই ওয়ানডে ২৫ ও ২৮ মে। প্রতিটি ম্যাচের ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।এই সিরিজ সামনে রেখে এই সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া শিথিল করতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি।
শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনিয়ে কথা বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। জানালেন, কোয়ারেন্টাইন কমাতে কাজ করছে বিসিবি। চলুন দেখে নেই সংবাদ সম্মেলনে কী বললেন সুজন।
ক্যাম্পে যারা যোগ দেবে..
যে ক্রিকেটাররা নেগেটিভ হবে তারা ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবে। আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য সবাইকে একটি অনুশীলনের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা গ্রিন সিগনাল পেয়েছি যে তারা টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে। আমরা আশা করছি শ্রীঘ্রই তারা অনুশীলন শুরু করবে।
তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইন…
শ্রীলঙ্কান দলের ক্ষেত্রে আমাদের যে প্রটোকল শ্রীলঙ্কায় সেটাই এখানে থাকছে। আমাদের দেশের আসার পর তাদের তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পরের ৩-৪ দিন তারা গুচ্ছ অনুশীলন শুরু করবে। তারপর আমাদের দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাবে।
১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন প্রসঙ্গ
অনেকে জিনিসটাকে অন্যভাবে উপস্থাপন করছেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে। এটা সুবিধাপ্রাপ্ত কিন্তু না। বিশ্বে যে স্পোর্টস ইভেন্ট বলেন যাই বলেন। একটা আলাদা প্রোটোকল রয়েছে। যে কোনো দেশের যে প্রটোকল সাধারণ মানুষের জন্য। তারা কিন্তু সাধারণ পেসেঞ্জার্স বিমানে এসেছেন। একবার নেগেটিভ দিয়েই এসেছেন। সরকারের যে প্রটোকল ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। সেটা তারা মেন্টেন করছেন। তারা কিন্তু আর পরীক্ষায় যাচ্ছেন না। আমাদের বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে যারা পার্টিসিপেন্ট হন তাদের সার্টেইন একটা প্রটোকল মেন্টেইন করে আসতে হয়। তারা একটা টেস্ট করে আসার পর। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কিছু টেস্ট করতে হয়। সেই সব পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই কিছু পার্টিসিপেট করতে পারে। এটা প্রটোকল শুধু বাংলাদেশে না। সারা বিশ্বেই হয়ে আসছে। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম করোনা মুক্ত দেশ। সেখানে কোনো ভ্রমণকারী যেতে পারেন না। সেখানে একটা দল খেলে পুরো সিরিজ খেলে আসছে। এখানে আমাদের কিছু জটিলতা হচ্ছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই মিনিমাইজ করার চেষ্টা করছি।
সম্প্রচারের জন্য ক্রু ভারত থেকে আসবে তো?
এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। তারপরও আপনারা জানেন যে এই ক্ষেত্রে সরকারের নির্দিষ্ট প্রটোকল আছে। আমরা চেষ্টা করছি এই প্রটোকলের মধ্যে থেকে যদি কোনো ক্রু আসার দরকার হয় সেক্ষেত্রে তাদের আনা যায় কি না। এছাড়া আমরা চেষ্টা করছি অন্যান্য যে অপশনগুলো আছে, সেগুলো চেষ্টা করছি। ওয়ার্ল্ডের অন্যান্য জায়গায় যে সমস্ত ক্রিকেট ইভেন্ট আছে। চেষ্টা রয়েছে, প্রয়োজনে সেখান থেকে ক্রু এনে খেলাগুলো চালাবো।
সাকিব-মুস্তাফিজের কোয়ারেন্টাইন প্রসঙ্গ
আমরা আসলে বিষয়টা কিন্তু জাতীয় দলের ক্ষেত্রে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করেছি। এখন যারা শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছি তাদের ব্যাপারে কাজ করছি। যেহেতু আমরা জানেন যারা ভারত থেকে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রটোকল ভিন্ন, এবং কিছুটা কঠিন। সেক্ষেত্রে তাদেরটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করছি ওই ব্যাপারেও ইতিবাচক কিছু পাবো।
Discussion about this post