এতো অর্জনের পরও একটুর জন্য আক্ষেপ হতেই পারে তাদের। আর মাত্র ৫টি বল খেলে যেতে পারলে তো আরেকটি রেকর্ড গড়া হয়ে যেতো। কিন্তু পারলেন না। লম্বা সময় ব্যাট করার পর ভাঙল মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। বলের হিসাবে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়াও হলো না।
ক্যান্ডি টেস্টে শান্ত-মুমিনুল দুজন মিলে বল খেলেছেন ৫১৪টি। এতে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠতে পেরেছেন তারা। ৪ বল বেশি নিয়ে এখনো শীর্ষেই থাকল মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম জুটি। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১৮ বল মোকাবিলা করেছিলেন দুজন।
পালেকেল্লে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১৬৩ রান করে শান্ত ফিরতেই ভাঙে দারুণ সফল এক জুটি। ২৪২ রানে থামে তাদের পার্টনারশিপ। শান্ত-মুশফিকের সামনে ছিল আরেকটি হাতছানি। টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপে চূড়ায় মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম। গলে ২৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। আর শান্ত-মুমিনুল আটকে যান ২৪২ রানের। অবশ্য এটি টেস্টে টাইগারদের তৃতীয় উইকেট জুটির রেকর্ড।
এছাড়া ২০০৯ সালের পরে আর বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় উইকেটে ছিল না কোনো শতরানের জুটি। আগের দিন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ। হয়ে যায় নতুন রেকর্ড।
বলের হিসাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি-
৫১৮ বল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, গল, ২০১৩
৫১৭ বল, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, পাল্লেকেলে, ২০২১
৪৯৮ বল, জাভেদ ওমর বেলিম ও নাফিজ ইকবাল, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ঢাকা, ২০০৫
৪৯৪ বল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ওয়েলিংটন ২০১৭
Discussion about this post