ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চলতি বছর ভারতে অনুস্থিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। তবে পাকিস্তানের দাবি, আয়োজক হিসেবে ভারত এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু এরইমধ্যে পাকিস্তান জানিয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজক ভারত এখনও নিশ্চিত নয়।
রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ পাকিস্তান-ভারতের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। কেবল এশিয়া কাপ ও বৈশ্বিক কোন ইভেন্টে তাদের মুখোমুখি হতে দেখা যায়।
গত বছর এশিয়া কাপ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু সে সময় বেকে বসে ভারত। যদিও করোনার কারণে সেই আসর মাঠে গড়ায়নি। এবার ভারতে যখন বিশ্বকাপ। তার ৭ মাস আগে দেশটিতে বিশ্বকাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার কথা জানাল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করতে আমরা আইসিসির কাছে অনুরোধ করেছি। যদি মেগা ইভেন্ট নিয়ে আমাদের উদ্বেগের সমাধান না হয় তাহলে আইসিসিকে এ আসর চলাকালীন ভারতে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছি।’
চলতি মাস পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে পিসিবি। এই সময়ের মধ্যে ভারতে যেতে পাকিস্তানের ক্রিকেটার, সমর্থক, সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের ভিসা ও নিরাপত্তার লিখিত নিশ্চয়তা না পেলে নতুন ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি তুলবে তারা। এ ব্যাপারে মানি বলেন, ‘যদি আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসা না দেয়া সম্ভব হয় তবে টুর্নামেন্টটি অন্য কোথাও পরিচালনা করা দরকার। আমাদের ক্রিকেটার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের জন্য আমাদের ভিসা প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছি। এই উদ্বেগগুলো পূরণ না করা হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমরা এখন আইসিসির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আইসিসির নতুন সূচিতে এখন পরপর দুই বছর হবে এই সংস্করণের দুটি বিশ্বকাপ। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে একটি, পরের বছর একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় অন্যটি।
ভারতে হওয়া ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচই ছিল দেশটির মাটিতে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে আরও।
Discussion about this post