ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন না তিনি। একাদশে তার নাম না দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। তবে ঢাকা টেস্টে ঠিকই দলে জায়গা পেলেন আবু জায়েদ রাহী। সুযোগটাও কাজে লাগাচ্ছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ১৮-৫-৪৬-২।
দিন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহী বললেন নানা কথা। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
লম্বা সময় পর মাঠে। গতবছরের শুরুতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি…
একটু ডিফিকাল্ট ছিল কিন্তু কোভিডের সময় অনেক ফিটনেস করছি, যখন আমাদের লকডাউন করছি। তো আমার মনে হয় যে আমার ফিটনেস ওয়ার্কটাই আমাকে হেল্প করেছে।
করোনার কারণে বলে লালা ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। বলের শাইন কিভাবে ঠিক রাখলেন…
প্রথমেই এজন্য ধন্যবাদ জানাবো সৌরভ ভাই (মুমিনুল হক) ও শান্তকে। কারণ ওরা বলটা খুব ভালো মেইনটেইন করেছে। এছাড়া আমাদের স্পিনারদের কারণ ওদের বলগুলায় বল খুব কমই পড়েছে শাইন পার্টে। আমার কাছে মনে হয় উনারা খুব ভালো মেইনটেইন করেছে বল উনারা
উইকেট কেমন দেখলেন?
যেরকম আশা করেছিলাম, ওরকম ছিল না। উইকেট এখনও ফ্ল্যাট আছে। আমার কাছে মনে হয় আমরা যেরকম আশা করেছিলাম উইকেট ওই রকম না। উইকেটটা আরও ফ্ল্যাট এবং আরও সময় লাগবে উইকেটে টার্ন এবং আমরা যেটা আশা করছি সেটা পেতে।
ডিসিপ্লিনড বোলিংয়ের রহস্যটা কী
আমি যে পেইসটা করি, আমার পেইসটা একটু কম। আমাকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সারভাইভ করতে হলে আমার লেংথ এবং লাইন। এবং আমি যখন বোলিং করি, তখন আমার মাথায় থাকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে ভালো করতে হলে আমাকে লেংথ এবং লাইনে বোলিং করতে হবে। এছাড়া আমার কাছে কোনো সেকেন্ড অপশন নেই। আমি এটাই মাথার মধ্যে রেখে বোলিং করি।
শুরুতে বোলিং তেমন ভাল ছিল না…
হয়তবা অনেক দিন পর ক্রিকেট শুরু হয়েছে, আমার ক্ষেত্রে যদি বলেন, অনেক দিন পরে ক্রিকেট শুরু হয়েছে। নিজেকে একটু নতুন নতুন মনে হচ্ছিল। কারণ প্রায় এক বছর পর আবার টেস্ট খেলছিলাম। খুব দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম এটাই ভালো জিনিস।
পাঁচটা স্পেল, ১৮ ওভার, মানসিকভাবে তৈরি ছিলেন কি?
না সত্যি বলতে আমার কাছে কোনো প্ল্যান ছিল না যে ১৮ ওভার বোলিং করব। অ্যাটলিস্ট আমি ১৫ ওভার বোলিং করব আমি ধরে রেখেছিলাম। অবশ্যই আমরা প্রফেশনাল ক্রিকেটার, আমাদের এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েই থাকতে হবে।
আরেকজন সিমার থাকলে ভালো হত কি না
না যখন সেকেন্ড নিউ বলটা নিয়েছি তখন আমার কাছে ওই রকম কিছু মনে হয় নাই।
চট্টগ্রাম টেস্টে না থাকা প্রসঙ্গে..
আমি প্রতিদিনই আমার ফিটনেস করছি, আমার কাজগুলা আগায়ে নিছি, ওটিসের সাথে কথা বলেছি, ওটিস বলছে তুমি অনেক ভালো শেইপে আছো, তুমি চেষ্টা করে যাও
দলের হার দেখলেন মাঠের বাইরে থেকে…
সত্যি বলতে প্রথমে মনেই হয়নি আমরা হারব। হয়তবা ড্র হবে ম্যাচটা এরকম ছিল, যখনই বলের অর্ধেক রান হয়ে গিয়েছিল, তখন মনে হয়েছিল হারব হারব। আনফরচুনেটলি হেরে গেছি ম্যাচটা, আসলে কল্পনার বাইরে, স্বপ্নের মত হয়েছে। সত্যি বলতে আমি রেডি ছিলাম না এই ম্যাচে এরকম একটা রেজাল্ট আসবে। মানে একটা স্বপ্নের মত। বড় একটা শক ছিল।
প্রথম দিনের পারফরমেন্স সন্তুষ্ট কিনা…
অবশ্যই আমি সন্তুষ্ট। আপনি যদি স্কোরকার্ড দেখেন, ৯০ ওভারে ২২৩ করেছে এই উইকেটে, আমার কাছে মনে হয় যে এখন ফিফটি ফিফটি, দুই টিমের জন্যই।
টেস্টে কামব্যাক, অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে..
অনুপ্রেরণা বলতে গেলে নিজের অনুপ্রেরণা, হ্যা সিলেটের কথা বলতে হবে। কারণ ওই মাঠে প্র্যাকটিস করতে আলাদা আনন্দ লাগে আমার। আমি ম্যাক্সিমাম টাইমে সিলেটে থাকলে ওখানে লোকাল কোচকে ফোন দিতাম বা উনি আমাকে ফোন দিত যে আসো ম,আঠে। সিলেটের মাঠে প্র্যাকটিস করতে আমার আলাদা ইন্টারেস্ট লাগত, আমি সিলেটের মাঠে যাব , প্র্যাকটিস করব, সুন্দর গ্রাউন্ড, আমার কাছে আকর্ষণটা একটু বেশি।
ঢাকা টেস্ট কি বাংলাদেশ জিতবে?
আসলে ক্রিকেট তো কিছু বলা যায় না, ইনশাআল্লাহ।
Discussion about this post