ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিজ হাতেই কি টেস্ট অভিষেকের পান্ডুুলিপি লিখেছেন তিনি?
হয়তো তাই। না হলে এমন মনের মাধুরী মেশানো থাকবে কেন? যা চেয়েছেন তাই যেন করতে পারলেন কাইল মায়ার্স। অভিষেকেই চাপের মুখে দাঁড়িয়ে খেললেন দ্বিশতক। তারচেয়েও বড় কথা দলকে স্বপ্নের মতো এক জয় উপহার দিয়ে ছাড়লেন মাঠ। রূপকথার সেই গল্পের কারিগর মেয়ার্স গড়লেন ইতিহাস। ৩ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে হতাশ করে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জিতলেন আসলে কাইল মেয়ার্স!
ক্রিকেট ইতিহাসের কোনও ব্যাটসম্যান অভিষেকের চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মায়ার্স ইতিহাস গড়লেন। স্পিনার নাঈম হাসানের বল অফ সাইডে ঠেলে ১ রান নিয়ে পৌঁছে যান স্বপ্নের ঠিকানায়। ১৯৯ থেকে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পা রাখেন ডাবল সেঞ্চুরিতে।
প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো টেস্ট ইতিহাসে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। কেউ প্রথম ইনিংসে, কেউ বা দ্বিতীয় ইনিংসে। তৃতীয় ইনিংসেও কারও ডাবল সেঞ্চুরি নেই। চতুর্থ ইনিংসে তো হয়ই নি। মায়ার্স এসেই রূপকথার গল্প লিখলেন।
শেষবার বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেন জ্যাক রুডলফ। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামেই ২২২ রান করেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। অভিষেকে ডাবলের স্বাদ পেয়েছেন টিপ ফস্টার (২৮৭), লরেন্স রোয়ে (২১৪), ম্যাথু সিনক্লেয়ার (২১৪) ও ব্রেন্ডন কুরুপ্পু (২০১)।
মায়ার্সের আগে আরও ১৩ ক্রিকেটার সেঞ্চুরিতে পেয়েছেন শতরান। তবে উপমহাদেশে অভিষেক সেঞ্চুরি তিনজনের। কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ ১৯৭৪ সালে বেঙ্গালুরুতে, অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে করেন ১০৭ রান। ১৯৭৫ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে লেন বাইচান করেন ১০৫ রান।
সোমবার চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৭ রানে নিয়ে শুরু করেন মায়ার্স। সকালে দুবার প্রাণ পেয়ে আর ফিরেও তাকান নি। ফিফটি করেন ৮৯ বলে। তিন অঙ্কে পা রাখেন আরও ৮৯ বল খেলে। ডাবলে যেতে খেললেন আরও ১২৫ বল। স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে মায়ার্স এখন যেন অন্য এক জগতে নিয়ে খেলেন টেস্ট ক্রিকেটকে। অনেক দিন মনে থাকবে এই ইনিংস।
Discussion about this post