ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
কোয়ারিন্টিন নীতিতে নিউজিল্যান্ড সরকার কঠোর। যে কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য বেশ কঠিন হবে এই সফর। সব কিছু বিবেচনা করেই বেশ খানিকটা সময় হাতে নিয়েই খেলতে কিউই সফরে যাবে তামিম ইকবাল-মুমিনুল হকরা।
বাংলাদেশের জন্য নিউজিল্যান্ডের পরিবেশ মোটেও সহজ না। সব বিবেচনায় নিয়ে দেশটিতে টাইগারদের উড়াল দেয়ার তারিখ ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ দল প্রথমে যাবে ক্রাইস্টচার্চে। মূলত অনুশীলন সুবিধার জন্যই টাইগারদের নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার সময়টা এগিয়ে আনা হয়েছে।
সব মিলিয়ে এবার নিউজিল্যান্ড সফর হবে ৪০ দিনের। শেষ হবে আগামী ৬ এপ্রিল। এরআগে অবশ্য দেশটিতে পৌঁছেই ব্যাট-বল নিয়ে অনুশীলনে নামতে পারবেন না তামিমরা। কেননা তাদের থাকতে হবে স্থানীয় আর্মিদের অধীনে ৫ দিনের আইসোলেশনে। তখন টাইগারদের থাকতে হবে একা একা। তাই অনুশীলনের সুযোগ কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এ ব্যাপারে ক্রিকেট অপারেশান্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘আমি মনে করি ওখানে আমাদের ম্যাচ অনুশীলনের জন্য এবার সুযোগটা কম। আগে যেভাবে অনুশীলন করতাম, এবার সেভাবে পাব না। প্রথমে আইসোলেশন, পরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যা শেষ হলে গ্রুপ অনুশীলন শুরু হবে। এরপরই ম্যাচের জন্য অনুশীলন করতে পারব। ব্যাপারটি কঠিন। যে কারণে আমরা এবার সময় নিয়েই নিউজিল্যান্ড সফরে যাব।’
আগামী ১৩ মার্চ ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এরপরের দুই ওয়ানডে ১৭ ও ২০ মার্চ যথাক্রমে ক্রাইস্টচার্চ-ওয়েলিংটন। এদিকে আগামী ২০ মার্চ নেপিয়ারে শুরু হবে টাইগারদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াই। এরপর ২৬ ও ২৮ মার্চ হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে।
এরআগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে হামলা হয়। তখন পুরো সফর শেষ না করেই দেশে ফিরেছিলেন তামিম-মুশফিকরা। এক বছর বিরতি দিয়ে মার্চে আবারো কিউই সফর করবে বাংলাদেশ।
Discussion about this post