কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে ক্ষোভ সালাউদ্দিনের

ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট

জমে থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলো! বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে দলগুলির কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে রীতিমতো লজ্জিত তিনি। দেশের কোচদের আরও মূল্যায়ন করার অনুরোধ জানালেন, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। যিনি দেশের অন্যতম সেরা কোচ।

তার রেগে যাওয়ার কারণটাও সংগত। চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টিতে। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে সবচেয়ে নিচের গ্রেডে (ডি গ্রেড) খেলোয়াড়রা পাচ্ছেন ৪ লাখ টাকা করে। অথচ দলগুলির প্রধান কোচদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছেে ৩ লাখ টাকা।

টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগের দিন বৃহস্পতিবার মিরপুর একাডেমি মাঠে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি এখানে কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না, গাজী গ্রুপে আমি জব করি। তবে অন্য কোচদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি খুব লজ্জিত। সারাজীবনই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচরা উঠে আসে, আরও বেশি সাবেক ক্রিকেটার যেন কোচিং করাতে আসে। তারা যেন একটা ভালো মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, এ ধরনের পারিশ্রমিকে কখনই কোনো ছেলেকে বলব না, ‘তোমরা কোচিংয়ে আসো।’

সালাউদ্দিন নিজে এই টুর্নামেন্টে আলাদা করে কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না। গাজী গ্রুপে নিয়মিত চাকরির অংশ হিসেবেই তাদের বিপিএল দল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দল, একাডেমি দল দেখাশোনা করেন। কিন্তু অন্য কোচদের পারিশ্রমিক কম নিয়ে তার মনে জমেছে অভিমান।

কষ্ট নিয়ে এদিন জানাচ্ছিলেন, ‘এদেশে কোচদের মূল্যায়ন হয় কি না ,আমি জানি না। দেখেন, আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ। ‘ডি’ গ্রেডের একটা খেলোয়াড় যা পাচ্ছে, একটা কোচ সেটাও পাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি আরেকটা কোচকে বলব এই পেশায় আসতে? আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ, সহকারী কোচরা হয়তো ‘এফ’ গ্রেডের, ট্রেনাররা ‘জি’, ‘এইচ’ বা এরকম গ্রেডের আর কী।’

জানালেন, কোচদের মূল্যায়ন করা উচিত। বলেন, ‘আমার মনে হয় সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত। কোচদের মূল্যায়ন না করা মানে হচ্ছে, দলের ওপর আমাদের কোনো প্রভাব নেই। আমরা আসলে আছি, শুধু একটা ম্যাচ চালিয়ে দিব, একটা টুর্নামেন্ট চালিয়ে দিব। এর বাইরে আমাদের আর কিছু করার নাই!’

বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টিতে এ গ্রেডের খেলোয়াড়রা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা। পরের তিন গ্রেডে পারিশ্রমিক ১০, ৮ ও ৪ লাখ টাকা। অথচ কীনা পাঁচ দলের হেড কোচের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা করে। সহকারী দুইজন কোচের একজন দেড় লাখ, একজন এক লাখ। ফিজিও ও ট্রেনার পাচ্ছেন ১ লাখ টাকা করে।

এ অবস্থায় সালাউদ্দিন মনে করেন কোচদের পারিশ্রমিক আরও বাড়ানো উচিত।