পুরো ক্রিকেট বিশ্বই যেন এখন তাকিয়ে শচীন টেন্ডুলকারের দিকে। বৃহস্পতিবার এই কিংবদন্তি যখন ব্যাট হাতে নামলেন- ইডেন গার্ডেন যেন চিৎকারে ফেটে পড়ল। চারদিকে একটাই- ধ্বনি ’শচীন..শচীন..।’ তবে বিদায়ী টেস্টের আগেরটির প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রানেই আউট শচীন। শেন শিলফোর্ডর বলে এলবিডাব্লিউ টেস্ট ক্রিকেটের সর্বাধিক রানের মালিক। তবে বল এতোটা উপরে লেগেছিল যে আম্পায়ার আউট না দিলেও পারতেন। আউটটাতে বিতর্কের গন্ধ লেগে থাকল। তারপরও ক্রিকেটপ্রেমীরা দাড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। কেননা, টানা ২৪ বছর অনেক দিয়েছেন ভারতকে। বিশ্ব ক্রিকেটকে!
কলকাতা টেস্টে বুধবার প্রথম দিন অবশ্য ভারতের হয়ে একটি উইকেট পেলেন তিনি। শচীনের ‘গোল্ডেন আর্ম’ চমক দেখাল এবারও। নিজের প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন উইন্ডিজের শেন শিলিংফোর্ডকে। গোটা ইডেনে তখন উল্লাসের ‘মেক্সিকান ঢেউ’। ১৯৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে শচীনের ৪৬ নম্বর উইকেট। ওয়ানডেতে ১৫৪। সব মিলিয়ে ২০০ উইকেট। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় ইডেন শচীনের আরেকটি কীর্তির সাক্ষী হয়ে রইল।
প্রথম দিন শেষে ভারত বিনা উইকেটে তুলে ৩৭ রান। এর আগে ২৩৪ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি আহমেদ। নিজের এই সাফল্যটা শচীনকেই উৎসর্গ করলেন বাংলার এই ক্রিকেটার। পরে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে রোহিত শর্মার (১২৭×) সেঞ্চুরিতে ভারত ১ম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৫৪ রান। অভিষেক টেস্টেই শতরান পেলেন রোহিত।
এদিকে শচীনকে নিয়ে ভারতীয় আরেক কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার বললেন, ‘এটা অনেক বড় ঘটনা। আমি বলতে চাই সবচেয়ে বড় ঘটনা। সব বিদায়ই দুঃখের। ব্র্যাডম্যানের পর শচীনই সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়। তাই তার অবসর নেওয়ার ঘটনাও সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
Discussion about this post