ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে দেশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। এরপর অবশ্য তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। কিন্তু আচমকায় পরদিন দুপুরে গুলশানে সুপারসপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির হন এ তারকা। স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভেঙেছেন তিনি। এজন্য সমালোচিতও হয়েছেন। অনেকের এর দায় দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোয়ারেন্টাইন বিষয়ক বিধি ভঙ্গ করলেও দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাকিবের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। বিসিবির ভাষ্য, জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার পরই বিসিবির অধীনে থাকবেন সাকিব।
বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা কোন বাংলাদেশির সঙ্গে যদি করোনা নেগেটিভের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট না থাকে, তবে তাকে অবশ্যই ১৪ দিন ঢাকার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর যদি তার সঙ্গে নেগেটিভের সার্টিফিকেট থাকে, সেক্ষেত্রে ১৪ দিন নিজ বাড়িতে কিংবা স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই বিধি সবার জন্যই প্রযোজ্য বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা, ‘কোনো বিদেশফেরত যাত্রী যদি করোনা নেগেটিভের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে আসেন তাহলে তাকে নিজ বাসায় অথবা নিজের তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে।’
বিদেশ থেকে ফেরার পর সাকিবের জন্য সব ব্যবস্থায় করে রেখেছিল বিসিবি। কিন্তু এ ক্রিকেটার যে পরদিনই জনবহুল এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তা বিসিবির কল্পনারও বাইরে ছিল। এ ব্যাপারে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘সাকিবকে অবশ্যই প্রক্রিয়ার ভেতরে থাকতে হতো। এ মুহূর্তে কিছু বলার নেই। জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার পর আমাদের দায়িত্বে সে। এখন সে আমাদের অধীনে নেই।’
Discussion about this post