ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিলেন দলে। এরপরই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে অন্য ক্রিকেটারদের মতো তিনিও চলে যান মাঠের বাইরে। জনসেবাতেই অনেকটা সময় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এটাতো অনেকেরই জানা তিনি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্যও। সেই মাশরাফি নভেম্বরেই মাঠে ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ইনজুরিতে দৃশ্যপট অনেকটাই এলোমেলো।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া মাশরাফিকে এই নভেম্বরে টি-টুয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন কীনা এ প্রশ্নের নেই।
ব্যক্তিগত ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় চোট পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। গত ১৮ অক্টোবর মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে রানিংয়ের সময় পায়ে পান তিনি।
এরপরই বিসিবির ডাক্তার ও ফিজিওদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্ক্যান করানোর পরামর্শ পান মাশরাফি। কিন্তু মেয়ে হুমায়রা মুর্তজা ও ছেলে সাহেল মুর্তজা কোভিড পজিটিভ হলে ঘরবন্ধী হয়ে যান তিনি। স্ক্যান করালেই আঁচ করা যাবে কতোটা মারাত্মক তার ইনজুরি।
তবে স্বস্তির কথা বাসায় থাকরেও মাশরাফির ব্যথা কমে আসছে। ম্যাশের ইনজুরি নিয়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানান, ‘শুনেছি ৭ বা ৮ তারিখ মাশরাফির স্ক্যান করাতে পারে। এরপরই চিকিৎসরা পরবর্তী ধাপে যাবেন। ফিটনেস ঠিক হয়ে গেলে খেলতে সমস্যা হবে না।’
এই টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়েই মাঠে ফিরছেন সাকিব। একবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। তবে মাঠে নামতে হলে তাকেও পাস করতে হবে ফিটনেস টেস্টে।
হাবিবুল বাশার সুমন জানাচ্ছিলেন, ‘দেখুন, সবার জন্য বিসিবির একই প্রক্রিয়া। সাকিবকেও প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। শুনলাম ওর ফিটনেস বেশ ভালো আছে।’
বিসিবির বঙ্গবন্ধু টি টুয়েন্টি কাপে জাতীয় দলের পুল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা খেলবেন। ১৫ নভেম্বর শুরুর কথা থাকলেও এক সপ্তাহ পেছানো হতে পারে।
Discussion about this post