ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এই সময়টাতে শ্রীলঙ্কাতেই থাকার কথা ছিল তাদের। তারই নেতৃত্বে অক্টোবরে লঙ্কানদের সঙ্গে লড়াইটাও ছিল প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু শেষ অব্দি কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে সমঝোতা হলো না। স্থগিত হয়ে গেল সফর। মাঠে ফেরাও পিছিয়ে গেল মুমিনুল হকদের। তবে আশার আলো থাকছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মাঠে খেলা রাখতে চাইছে। মুমিনুলও সেই আশায় আছেন।
লঙ্কা সফর বাতিলে কষ্ঠ থাকলেও টেস্ট ক্যাপ্টেন মুমিনুল বলছিলেন, ‘দেখুন, মাঠে ফিরতে চেয়েছিলাম। এজন্য অনুশীলনে কোনও ঘাটতি রাখছিলাম না। ব্যক্তিগত ট্রেনিং শেষে দলগত ট্রেনিং করছিলাম। যদিও সিরিজটি তো স্থগিত হলো। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আসলেও কঠিন হতো।’
করোনা পরিস্থিতি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় জৈব সুরক্ষা বলয়ে এই অক্টোবর থেকে ৩ টেস্টের সিরিজ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় দুই বোর্ড। যদিও লঙ্কা সফরের জন্য ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন মানতে হতো টাইগারদের। সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে কোয়ারেন্টাইন কড়াকড়িতে সফরে আগ্রহী না হওয়ায় সিরিজটি আবার পিছিয়ে গেল।
স্বস্তির খবর হলো-সিরিজ স্থগিত হলেও থেমে থাকবে না ক্রিকেটারদের অনুশীলন। ১৫ দিনের স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্প করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। দুটি দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ও একটি তিনদিনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ২৭ ক্রিকেটার। মুমিনুল সেই ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়। জানালেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে ভালো। নিশ্চিন্তে মাঠে নেমে খেলতে পারবো।’
সিরিজ বাতিলে মন খারাপ মুমিনুল আরও বলছিলেন, ‘প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম সবাই মিলে। প্র্যাকটিসও হচ্ছিল ভালই। সিরিজও হবে হবে করছিল। করোনার কারণে ক্রিকেটের বাইরে থাকার একটা অন্যরকম হতাশা ছিল, মনে করেছিলাম তা কেটে যাবে। আমরা শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে আবার মাঠে ফিরবো, কিন্তু তা যখন হলো না, তখন খুব খারাপই লাগার কথা। সবার মন খারাপ।’
যাই হোক আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেটেই চোখ। মুমিনুলও দেশের মাঠে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফিরতে চান। করোনাভাইরাস মাঝে অনেকটা সময় তো কেড়ে নিয়েছে। এবার শুরু হোক মাঠের লড়াই!
Discussion about this post