ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
গত মার্চ থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ঘরবন্দী ছিলেন ক্রিকেটাররা। সে সময় অবশ্য তাদের সঙ্গে নিয়ম করে অনলাইনে সভা করতেন কোচরা। খেলোয়াড়দের শক্তি ও দুর্বলতার বিষয়গুলো তুলে ধরতেন কোচরা। যে কারণে সুবিধাই হয়েছে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের। ব্যক্তিগত অনুশীলনে ঘরে বসে নিজেদের খেলা নিয়ে শেখা বিষয়গুলো নিয়ে এখন কাজ করতে পারছেন তারা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে আজ যেমন আফিফ হোসেন জানালেন করোনার লকডাউন কতটা কাজে লাগিয়েছেন তিনি।
ঘরবন্দী থাকা অবস্থায় কোচদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা এখন প্রয়োগ করছেন আফিফ। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘লকডাউনের সময়টাতে আসলে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করার অনেক সময়ে পেয়েছি। আমাদের যে সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে অনলাইনে আলোচনায় ব্যাটিংয়ের কিছু কৌশল নিয়ে কাজ করেছি। আর ওগুলোই আপাতত করার চেষ্টা করছি। ওগুলোই ঠিক করতে পারলে হয়তো আরও ভালো পারফর্ম করতে পারব।’
বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটসম্যানদের ফ্রন্ট ফুটে খেলার দুর্বলতা নিয়ে কিছুটা বিরক্ত ছিলেন ম্যাকেঞ্জি। তিনি বলতেন, দেশের মন্থর উইকেট খেলার কারণে সামনে পা থেকে পেছনের পায়ে যেতে সময় নিয়ে নেয় ব্যাটসম্যানরা। হয়তো সেই দেরিটা কয়েক ন্যানো সেকেন্ডের। কিন্তু তাতেই বিদেশের মাটিতে ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে মাথায় আঘাত পাওয়ার শঙ্কা থাকে তাদের। বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান মাথায় আঘাতও পেয়েছিলেন এই কারণে। করোনার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে এই দুর্বলতা কাটাতে বেশ পরিশ্রম করেছিলেন আফিফ। তাতে কাজও হয়েছে এ বাঁমহাতি ব্যাটসম্যানের, ‘লকডাউনের সময়টা অবশ্যই কঠিন ছিল। আমাদের কোচিং স্টাফ, ট্রেনাররা যেসব সূচি তৈরি করে দিয়েছিলেন তা বাসায় করার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া অনলাইনে যেসব সভা হয়েছে সেগুলো অনেক চাঙা করেছে। এখন অবশ্য মিরপুর এসে অনুশীলন করতে পেরে ভালো লাগছে। নিজের যেসব সেশন দরকার তা করতে পারছি। তো আশা করি এগুলো সামনে ভালো কাজে দেবে।’
Discussion about this post