ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি অস্ট্রেলিয়ায় বসার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনার কালো থাবায় নির্ধারিত সময়ে এ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি তাই হয়, তাহলে বাংলাদেশের জন্য ভালো। কেননা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এ টুর্নামেন্ট অক্টোবরের পরে হলে সাকিব আল হাসানকে পাবে টিম টাইগার্স। মাহমুদউল্লাহর চাওয়াও তাই।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে গোপন করায় আপাতত আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে এ অলরাউন্ডার এ বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে নিষেধাজ্ঞার সাজা কাটিয়ে ফিরবেন মাঠের ক্রিকেটে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা ১৯ অক্টোবর। প্রথম রাউন্ডে নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এ রাউন্ড উতরাতে পারলেই সুপার ১২-এর টিকিট পাবেন তারা। শক্তিমত্তায় দলগুলো বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল। তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কোনো দলকে খর্বশক্তির ভাবা যাবে না। কারণ নিজেদের দিনে যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে তারা। তাই প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি অতিক্রম করতে সাকিবকে বড্ড বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট গড়ালেই হবে সর্বনাশ। কারণ জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় এ মুহূর্তে আইসিসি প্রদত্ত এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করছেন তিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে ২৯ অক্টোবর তার সাজার মেয়াদ শেষ হবে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে বাংলাদেশের মঙ্গল হবে। সাকিবকে নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠন করতে পারবেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এ ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘দেখুন, যদি শিডিউল পরিবর্তন হয়, তা হলে এটি আমাদের জন্য দারুণ হবে। আমরা সবাই জানি– আমাদের দলে সাকিবের ভূমিকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এ ফরম্যাটে অনেক অভিজ্ঞ সে। তার অন্তর্ভুক্তি দলের চেহারাই পাল্টে দিতে পারে। সে ঢুকলে দল ব্যালান্সড হবে। টিমে তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। প্রকৃত ম্যাচ উইনার সাকিব।’
নিষেধাজ্ঞায় থাকায় সাকিব রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। পরিবারের নতুন অতিথি আগমনের প্রতীক্ষায় এই তারকা ক্রিকেটার। তবে বসে নেই এ তারকা। সেখান থেকেই করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন। বিভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন। শুধু তাই নয় গেল বিশ্বকাপে যে ব্যাট দিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলাধুনা করেছিলেন, এবার সে ব্যাটটিই নিলামে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এই অর্থও ব্যয় হবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য।
Discussion about this post