ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অ্যাডিলেডে শনিবার তৃতীয় সেশনে মিড উইকেট দিয়ে পুল করে পাঠানো বল সীমানা ছাড়া করেই ডেভিড ওয়ার্নার ট্রিপল সেঞ্চুরির বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠলেন! তাতে যেন তিনি গোটা অ্যাডিলেইডকেই মাতালেন। গোলাপি বলে খেললেন রেকর্ড গড়া ইনিংস।
অ্যাডিলেডে দিবারাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার। এজন্য তিনি খেলেছেন অপরাজিত ৩৩৫ রানের ঝলমলে ইনিংস। দিবারাত্রির টেস্টে এটিই কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ছিল এই ম্যাচে ওয়ার্নারের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক আজহার আলির। ২০১৬ সালের অক্টোবরে, ইতিহাসের দ্বিতীয় দিবারাত্রির টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজহারের ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৩০২ রান।
দ্বিতীয় দিনে ১৬৬ রান নিয়েমাঠে নামা ওয়ার্নার শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। প্রথম সেশনে যোগ করেন আরও ৯৫ রান, বিরতিতে যান ২৬১ রান নিয়ে। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুত এগুতে থাকেন ট্রিপলের দিকে। ইফতিখার আহমেদের বলে চার মেরে পৌঁছান ২৯০-এর ঘরে।
টেস্ট ইতিহাসে সপ্তম অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে শনিবার ওয়ার্নার পার করেন তিনশ রানের গুন্ডি। সর্বশেষ ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে সিডনিতে অপরাজিত ৩২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক।
ট্রিপল পূর্ণ করার পরও ওয়ার্নার ব্যাট করছিলেন দারুণ স্বচ্ছন্দে। শেষ পর্যন্ত তাকে ৩৩৫ রানে রেখে দলীয় ৫৮৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন। টেস্টে এটি অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। টিকে গেছে ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পার্থে ম্যাথু হেইডেনের করা ৩৮০ রানের রেকর্ড।
শনিবার ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ওয়ার্নার অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও মার্ক টেলরকে। ১৯৩০ সালে হেডিংলি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্র্যাডম্যান খেলেছিলেন ৩৩৪ রানের ইনিংস। আর ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশোয়ারে ব্যক্তিগত ৩৩৪ রানে দাঁড়িয়ে দলের ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টেলর।
Discussion about this post