ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইংল্যান্ডের পয়মন্ত মাঠ, বার্মিংহামের এজবাস্টন। এই মাঠে গত ২৬ বছর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারেনি ইংলিশরা। বৃহস্পতিবারও সেই চেনা পথেই হাঁটল ইতিহাস। স্টিভেন স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারির প্রতিরোধের পরও বড় সংগ্রহ হয়নি অজিদের। বল হাতে দাপট দেখালেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। এরপর জেসন রয়ের ঝড়ে একপেশে ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতল ইংল্যান্ড।
২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের ক্রিকেটের জনকরা। ১৪ জুলাই ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়বে ইংল্যান্ড। এর অর্থ এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখবে বিশ্বকাপ! কারণ দুই দেশের জন্যই ওয়ানডে বিশ্বকাপ রহস্য হয়েই আছে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের সফলতম দল অস্ট্রেলিয়া এর আগে সাতবার সেমিফাইনাল খেলে হারেনি। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড দিয়েছে তাদের সেই তিক্ত স্বাদ।
বার্মিংহামে বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ব্যাট-বল দুটোতেই দাপট থাকল ইংল্যান্ডের। টস জয়ী অস্ট্রেলিয়াকে তারা অলআউট করে ২২৩ রানে। রান তাড়া করতে নেমে ৩২.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই পা রাখে জয়ের বন্দরে। অনায়াস এক জয়।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। স্টিভেন স্মিথ প্রতিরোধ না গড়লে আরো অল্প পুঁজিতেই শেষ হতে পারতো তারা। স্মিথের ব্যাটে ৮৫ রান। নতুন বলে ক্রিস ওকস ও জফরা আর্চার দুর্দান্ত খেললেন। গতি, বাউন্স আর ছোট সুইংয়ে সর্বনাশ তাদের। ১১ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৩ উইকেটে ২৮।
অ্যালেক্স কেয়ারিও ভাল ব্যাট করেন। আর্চারের বাউন্সার কেয়ারির থুতনি রক্তাক্ত হলেো্ খেলে যান। ১০৩ রানের জুটি গড়েন স্মিথের সঙ্গে। ৪৬ রান করেন কেয়ারি।
জবাবে নেমে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটিই শেষ করে দেয় অজিদের সম্ভাবনা। ৩৪ করে ফেরেন বেয়ারস্টো। ভাঙে ১০৪ বলে ১২৪ রানের জুটি। ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৫ বলে ৮৫ রান করেন জেসন রয়।
এরপর জো রুট ও ওয়েন মরগান অনায়াসেই দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে। ৪৬ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত রুট।৩৯ বলে ৪৫ রান আসে মরগানের ব্যাটে। দল পা রাখে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২২৩/১০ (ওয়ার্নার ৯, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৮৫, হ্যান্ডসকম ৪, কেয়ারি ৪৬, স্টয়নিস ০, ম্যাক্সওয়েল ২২, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২৯, বেহরেনডর্ফ ১, লায়ন ৫*; ওকস ৮-০-২০-৩, আর্চার ১০-০-৩২-২, স্টোকস ৪-০-২২-০, উড ৯-০-৪৫-১, প্লাঙ্কেট ৮-০-৪৪-০, রশিদ ১০-০-৫৪-৩)।
ইংল্যান্ড: ৩২.২ ওভারে ২২৬/২ (রয় ৮৫, বেয়ারস্টো ৩৪, রুট ৪৯*, মরগান ৪৫*; বেহরেনডর্ফ ৮.১-২-৩৮-০, স্টার্ক ৯-০-৭০-১, কামিন্স ৭-০-৩৪-১, লায়ন ৫-০-৪৯-০, স্মিথ ১-০-২১-০, স্টয়নিস ২-০-১৩-০)।
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ক্রিস ওকস
Discussion about this post