ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ঊর্ধ্বো ইনিংস খেললেন সাকিব আল হাসান। এরমধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে দুটি পঞ্চাশ আর পরের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি। ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার মনে করেন, গত দেড় মাসের পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন।
এবারের বিশ্বকাপের পথচলা সাকিব শুরু করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে। পরের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করে থামেন ১২১ রানে। সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত থাকেন ১২৪ রানে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এটা অসাধারণ একটা অনুভূতি। অবশ্যই উইকেটে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারাটা সবচেয়ে সন্তুষ্টির। আমি ব্যাটিং নিয়ে গত দেড় মাস ধরে কাজ করেছি। তারই ফল পাচ্ছি। আমার মনে হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমরা ডিসেন্ট একটা স্কোরে থামাতে পেরেছিলাম। ওদের ইনিংস শেষে আমার বিশ্বাস ছিল, যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমরা ওই রান পেরিয়ে যেতে পারব।’
টানা দুই সেঞ্চুরিতে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন সাকিব। বিশ্বকাপে এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ মাহমুদউল্লাহর ৩৬৫ ছাড়িয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৩৮৪ রান। মূলত ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ থেকে তিন ওঠার পর এগিয়ে যাচ্ছেন তরতর করে, ‘তিনে নামার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলাম? আমি জানি না (হাসি)। তবে আমি জানতাম যদি আমি তিনে ব্যাটিং করি তাহলে বেশি সুযোগ পাব। বেশি সময় ধরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাব। পাঁচে ব্যাটিং করার সময় কখনও কখনও আমি ৩০ বা ৪০ ওভারের সময় নামতাম। আমার মনে হয়েছিল, এটা আমার জন্য আদর্শ নয়। এ কারণেই আমি ওপরের দিকে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই।’
সোমবার বল হাতেও সাকিব ছিলেন সফল। নেন ৫৪ রানে ২টি উইকেট। এবারের আসরে সব মিলিয়ে নিলেন ৫ উইকেট, ‘বোলিংয়েও অবদান রাখা প্রয়োজন ছিল। আমি আমার বোলিং নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে ঠিকঠাক করছি, তবে আমি অবশ্যই এর চেয়েও ভালো করতে পারি।’
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে কুমার সাঙ্গাকারার রয়েছে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড। সেই রেকর্ড স্পর্শ করতে বা ভাঙতে পারবেন সাকিব? এ ব্যাপারে টাইগার তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আশা করি হবে। তবে সেরা ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাজটা সহজ নয়। ওদের বিপক্ষে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।’
Discussion about this post