ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আসন্ন বিশ্বকাপের উইকেট হবে ব্যাটিং। ব্যাপারটি এরইমধ্যে অনুমান করতে পেরেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস। যে কারণে তিনি চাইছেন বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ে টাইগার একাদশে দশ জন ব্যাটসম্যান। সে পরিকল্পনা নিয়েই আপাতত এগোচ্ছেন ইংলিশ এ কোচ।
দ্বাদশ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াডে জায়গা পাওয়াদের মধ্যে শুধু মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন ব্যাটিংয়ে কম দক্ষ। তাইতো কোচ স্টিভ রোডস চাইছেন একাদশ এমনভাবে সাজাতে যেখানে দশজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করতে পারেন, ‘লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেবল একজন বোলার থাকে যে ব্যাটিংয়ে অতো পারদর্শী নয়, তিনজন নয়। আমার মনে হয় এটা বড় রান করতে সাহায্য করবে। যখন অনেক বড় রান তাড়া করতে হবে তখন শেষ দিকে তিন-চার ওভারে অনেক উইকেট পড়তে পারে।’
এবারের বিশ্বকাপে বোলাররা খুব একটা সহায়তা পাবে না। যে কারণে দলের জয় পরাজয় ব্যাটসম্যানদের উপর নির্ভর করবে। এটা অনেকটাই নিশ্চিত রোডস। এ সুযোগ নিয়েই রোডস চাইছেন স্কোর যতটা সম্ভব বড় করতে, ‘এখানে উইকেট খুব ভালো। আউটফিল্ডও খুব গতিময়, বল করা তাই খুব কঠিন বিশেষ করে পাওয়ার প্লের সময়। কাজেই আমরাও বড় সংগ্রহ গড়তে পারব, সেটা বিস্ময়কর হবে না। এমন পরিবেশে আগে খেলিনি বলেই বড় স্কোর হতো। গত এক বছর ধরে আমরা প্রচুর খাটছি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আশা করছি এভাবে এটা ধরা রাখা যাবে।’
সম্প্রতি ডেথ বোলিংয়ে সাইফুদ্দিন দারুণ করায় এখন একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে নামতে পারছে বাংলাদেশ। পেস অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন তৃতীয় পেসারের দায়িত্ব। এমনকি মাশরাফির সঙ্গে ইনিংসের শুরু আর মোস্তাফিজের সঙ্গে শেষটায় রাখছেন অবদান।
বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ে টাইগার একাদশও রোডস ঠিক করে রেখেছেন। তাইতো তিনি বলেছেন একাদশে ব্যাটিংয়ে আনকোরা কেবল একজনই জায়গা পাচ্ছেন, ‘লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেবল একজন বোলার থাকে যে ব্যাটিংয়ে অতো পারদর্শী নয়, তিনজন নয়। আমার মনে হয় এটা বড় রান করতে সাহায্য করবে। যখন অনেক বড় রান তাড়া করতে হবে তখন শেষ দিকে তিন-চার ওভারে অনেক উইকেট পড়তে পারে।’
গেল ত্রি-দেশীয় সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের যা স্টিভ রোডসকে দিচ্ছে স্বস্তি,‘তেড়েফুঁড়ে মারার সক্ষমতা আছে সাব্বিরের। শেষ ১০ ওভারে প্রচুর রান বাড়াতে পারে সে। যদি ওভারপ্রতি ৭ করে দরকার হয় তাহলে তার বোঝার ক্ষমতা আছে যে কাজটা তাকে শেষ করতে হবে। একই কথা খাটে মাহমুদউল্লাহর বেলায়। মোসাদ্দেক কি করতে পারে আপনারা দেখেছেন। এছাড়া মিরাজ, মিথুন, সাইফুদ্দিনকে আমরা শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে দেখতে চাই। পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয় এমন পজিশনে তারা খেলবে। মাশরাফিও মারতে পারে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী ২ জুনের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। তার আগে আগামী ২৬ ও ২৮ মে পাকিস্তানে ও ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্ততি ম্যাচে মাঠে নামবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
Discussion about this post