ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বল টেম্পারিং করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নির্বাসিত স্টিভেন স্মিথ। তবে আগামী মার্চেই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিলবে এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের। অবশ্য সাবেক এ অধিনায়ক বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন। প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। কিন্তু দলটির হয়ে দুটি ম্যাচে মাঠে নামার পরই তারকা এ ব্যাটসম্যান পড়েছেন কনুইয়ের চোটে। যে কারণে দেশে ফিরেছেন তিনি। তার পথ ধরে জাতীয় ফেরাটাই তার হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে অজিদের জার্সিতে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেলেন তিনি।
২০১৮ সালের মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় জড়িয়ে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ-ওয়ার্নার। তারপর থেকেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট হাঁটছে উল্টো পথে। এরইমধ্যে অবশ্য সাবেক অধিনায়ক-সহ:অধিনায়কে ফেরাতে অনেকেই অজি ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ করলেও কোন কাজ হয়নি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেও স্মিথ-ওয়ার্নার ফিটনেস ঠিক রাখতে ঘরোয়া লিগে খেলে যাচ্ছেন নিয়মিত। কিন্তু চলতি বিপিএলে চোটে পড়ে জাতীয় দলে স্মিথের ফেরা-না ফেরাটা পড়ে গেলো কঠিন সংশয়ের মধ্যে। মার্চে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও চোটের কারণে যথাসময়ে তার ফেরা হচ্ছে না। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিও নিতে পারবে না তিনি।
ঢাকা থেকে কনুইয়ে আঘাত নিয়ে স্মিথ ফিরেন নিজ দেশে। সেখানে তিনি জানতে পান গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কনুইয়ের লিগামেন্ট। চোটের গতিপ্রকৃতি অনুধাবন করার পর ডাক্তাররা অস্ত্রোপচারেরই পরামর্শ দিয়েছেন তাকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, ‘১৫ জানুয়ারি স্মিথের কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হবে। এরপর অন্তত ছয় সপ্তাহ হাত স্লিংয়ে ঝুলিয়ে রাখতে হবে তাকে। সবশেষে শুরু হবে মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া। এরপরই বলা যাবে, কবে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।’
অস্ত্রোপচারের পর স্মিথের ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে রিহ্যাবে ফিরতে। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও ২৩ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে তার।
Discussion about this post