ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাস্তবতা বুঝেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সময়ের দাবী মিটিয়েছেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর তিনি মনে করেন ভক্তরা সেভাবে তাকে মনে ধরে রাখবে না। এজন্য সময় থাকতেই জড়িয়েছেন রাজনীতিতে। মঙ্গলবার মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি শচীন টেন্ডুলকার বা গ্লেন ম্যাকগ্রা না যে মানুষ আমাকে মনে রাখবে।’
নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন মাশরাফি। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে লড়বেন। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ খেলেই অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তার। তার আগে খেলায় মনোযোগটা বেশি থাকবে।
রাজনীতিতে নামার ব্যাখ্যায় মাশরাফি বলেন, ‘দেখুন, আমি বিশ্বকাপকে ধরে পরিকল্পনা করছিলাম। আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরের সাড়ে চার বছরে আমি জানি না আমার অবস্থা কী হবে। আমার একটা সুযোগ এসেছে। মানুষের জন্য কাজ করা আমি সব সময়ই উপভোগ করি। আমি একটা ফাউন্ডেশনও করেছিলাম। আমার জন্য একটা সুযোগ এসেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সে সুযোগটা দিয়েছেন। আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার। আমার মনে হয়েছে এটা আমার জন্য বড় সুযোগ তাদের জন্য কাজ করার। সাত মাস বা আট মাস পর তো আর জাতীয় নির্বাচন হবে না। তাই মনে হয়েছে এই সুযোগটা নেওয়া উচিত।’
এখনই কেন রাজনীতি মাশরাফি? এনিয়ে বলেন,‘সত্যি বলতে কী আমার ক্যারিয়ার শেষের দিকে। এর পরে হয়তো বা…আমি শচীন টেন্ডুলকার বা গ্লেন ম্যাকগ্রা না যে মানুষ আমাকে মনে রাখবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি, আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুকু পেরেছি খেলেছি। তবে সব সময় উপভোগ করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার একটা ছোটবেলার শখ ছিল, ছোটবেলার চাওয়া ছিল। সুযোগটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন, বড় পরিসরে যদি কিছু করা যায়।’
বিশ্বকাপের পরই অবসর নেবেন মাশরাফি। জানিয়ে রাখলেন, ‘আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই খেলা। বিশ্বকাপ এখনো আট মাস পর। চেষ্টা করব এই আট মাসে যেভাবে খেলে এসেছি সেভাবেই খেলার। আগেও বলেছি, আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্যই ছিল বিশ্বকাপ। এরপরও খেলা চালিয়ে যেতে পারব কি না, সেটা সেই সময়টাই বলে দেবে। তবে আমার উদ্দেশ্যটা আমার কাছে পরিষ্কার। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সে সুযোগটা যদি পাই, কাজ করব।’
Discussion about this post