ক্রিবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অনেকটা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই এশিয়া কাপে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। সে কারণে বেশ মাশুল গুনতে হলো নিজেকেই। টুর্নামেন্টের শেষ দুটো ম্যাচে খেলা হয়নি। আবার দেশে ফিরে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। সেটা না করতে পারলে বড় বিপদেই পড়তেন সাকিব। এমন কী ক্ষতির মুখে পড়তে পারতো তার হাতও।
এই অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে উঠতে সাকিবের লাগবে দুই-তিন সপ্তাহ। এরপর হাতে আরেকটি সার্জারি করাতে হবে।সব মিলিয়ে তিন মাস ক্রিকেট মাঠের বাইরেই থাকতে হবে সাকিবকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই হাতের চোট নিয়ে খেলেছেন সাকিব।ব্যথানাশক নিয়ে শেষ করেছেন সিরিজ। এরপরই দেশে ফিরে অস্ত্রোপচারের কথা জানান বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে। কিন্তু তিনি এশিয়া কাপ শেষে সার্জারির পরামর্শ দেন। ঝুঁকি নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলতে গিয়ে তার খেসারতও দিতে হল।
এ অবস্থায় সাকিব জানালেন সুস্থ হতে তার তিন মাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ডাক্তাররা আমাকে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পুঁজ বের করতে হবে। একটু দেরি করলেই ইনফেকশন ছড়িয়ে যাবে পুরো হাতে। আমি যদি আর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতাম, তাহলে হয়ত আমার হাতই অকেজো হয়ে যেতো। পুঁজ বের করার পর একটু ভালো লাগছে, কিন্তু ইনফেকশন এখনো দূর হয়নি। আমার আঙ্গুলে এখনই অস্ত্রোপচার হবে না। ২-৩ সপ্তাহ লাগবে সেই অবস্থায় যেতে। অস্ত্রোপচারের পর ৮ সপ্তাহ লাগবে মাঠে ফিরতে। মানে সব মিলিয়ে তিন মাসের মতো খেলতে পারব না আমি।’
চোটে পড়ার পর চিকিৎসক থিলান চন্দ্রমহনের পরিচর্যায় ছিলেন সাকিব। তিনিই নাকি নাকি ইনফেকশনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু দেশের ফিজিও তেমন কিছুই বলেনি তাকে। সাকিব বলেন, ‘আমি গত ১৪-১৫ দিন ধরেই হাতে এমন অবস্থা ছিল। এটা সত্যি যে ফিজিও ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝতে পারেন না। তবে এই ভুলের জন্য কিছুটা দায় তাকে নিতেই হবে। তবে তাকে দোষারোপ করতে চাইনা। কেউ আসলে জানত না যে ইনফেকশন হবে।’
সাকিব গণমাধ্যমে আরাে জানান, ‘বিসিবি সভাপতি আমাকে বলেছিলেন যে এশিয়া কাপে খেলতে পারব নাকি অস্ত্রোপচার করাব। তিনি আমাকেই সিদ্ধান্তটা নিতে বলেছিলেন। যখন আমি ফিজিওকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি আমাকে বলেছিলেন ইনজুরিটা বেশি ভয়াবহ হবে না। তাই আমি এশিয়া কাপে খেলার সিদ্ধান্ত নেই, কারণ এটা আমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। ৪-৫ ম্যাচ ব্যথা নিয়ে খেলতে চেয়েছিলাম।’
Discussion about this post