ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শুরুতে ব্যাট হাতে মুশফিকুর রহীমের সংগ্রামী শতরান। এরপর বোলারদের ম্যাজিক। দুইয়ে মিলে অনায়াসে শ্রীলঙ্কাকে হারাল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রেকর্ড গড়া এক জয়। বাংলাদেশের ২৬১ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট ১২৪ রানে। ১৩৭ রানের বিশাল জয় দিয়ে টুর্নামেন্টের সুপারফোর অনেকটাই নিশ্চিত করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এটিই দেশের বাইরে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে বিদেশের মাঠে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১২১ রানের, ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে এই জয় পায় টাইগাররা।
একইভাবে শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে কম রানে আউট হওয়ার রেকর্ড গড়ল শ্রীলঙ্কা। আগের সর্বনিম্ন ইনিংস ২০০৯ সালে ১৪৭ রান।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যটা বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। মাশরাফি বিন মর্তুজা শুরুতে ব্যাট হাতে নিতে ভুল করেন নি। এরপর শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দল। বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে মুশফিক ফিরেন ১৫০ বলে ১৪৪ রান তুলে। তার বাহারি ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কা। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে মুশফিকের আগের সর্বোচ্চ ছিল ১১৭। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে এই রান করেন তিনি।
আর বল হাতে সফল লাসিথ মালিঙ্গা। ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন দলে ফেরা এই শ্রীলঙ্কান পেসার।
শুরুতেই লাসিথ মালিঙ্গা ফেরান লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানকে। তারপরই সুরঙ্গা লাকমালের ওভারের শেষ বলে কব্জিতে চোট পান তামিম। তারপরই যেতে হয় সোজা হাসপাতালে। কিন্তু তারপর ফিরে এসে মাঠে নামে চমকে দেন তিনি। সঙ্গ দেন মুশফিককে। তবে এই ম্যাচ শেষেই ফিরতে হবে তাকে। ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তামিমকে। মিঠুন ৬৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৬৩ রান করেন। মুশফিকের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন তিনি।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দলের বিপক্ষে চোট পেয়ে শুরুতেই মাঠ ছেড়েছিলেন তামিম। কিন্তু এরপর হাসপাতাল থেকে ফিরে ভাঙ্গা কব্জি নিয়েই উইকেটে নামেন তামিম। তিনি প্রান্ত আগলে থাকায় বাংলাদেশ প্রথম লঙ্কানদের বিপক্ষে পায় ২৬১ রানের ইনিংস।
তারপর জবাব দিতে নেমে মাশরাফিদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে কিছুই করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। চট জলদি বিদায় নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারেই শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেল মাত্র ১২৪ রানে। বাংলাদেশের জিতে ১৩৭ রানে অনায়াসে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৯.৩ ওভারে ২৬১ (তামিম ২*, লিটন ০, সাকিব ০, মুশফিক ১৪৪, মিঠুন ৬৩, মাহমুদউল্লাহ ১, মোসাদ্দেক ১, মিরাজ ১৫, মাশরাফি ১১, রুবেল ২, মুস্তাফিজ ১০; মালিঙ্গা ৪/২৩, লাকমল ১/৪৬, আপন্সো ১/৫৫, থিসারা ১/৫১, দিলরুয়ান ০/২৫, ধনাঞ্জয়া ২/৩৮, শানাকা ০/১৯)
শ্রীলঙ্কা: ৩৫.২ ওভারে ১২৪ (থারাঙ্গা ২৭, মেন্ডিস ০, কুসল পেরেরা ১১, ধনাঞ্জয়া ০, ম্যাথিউস ১৬, শানাকা ৭, থিসারা ৬, দিলরুয়ান ২৯, লাকমল ২০, আপন্সো ৪, মালিঙ্গা ৩*; মাশরাফি ২/২৫, মুস্তাফিজ ২/২০, মিরাজ ২/২১, সাকিব ১/৩১, রুবেল ১/১৮, মোসাদ্দেক ১/৮)
ফল: বাংলাদেশ ১৩৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহীম
Discussion about this post