প্রত্যাশার সিকিভাগও পূরণ হল না। শুক্রবার হতাশা নিয়েই ভারতের দেরাদুন থেকে ফিরল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগেই নিশ্চিত হয়েছিল সিরিজ হার। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচটা নিয়ে আশা ছিল সবার। অন্তত আফগানদের বিপক্ষে জিতে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা থেকে বাঁচাবে বাংলাদেশ। সে সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল বৃহস্পতিবার দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। কিন্তু শেষটাতে সেই হতাশাতেই পুড়ছে হয়েছে টাইগারদের। হারতে হয়েছে ১ রানে। তাতে রীতিমত হতাশ সাকিব।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের। কিন্তু বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে শুরু থেকেই বল হাতে জ্বলে উঠে টাইগাররা। নাজমুল ইসলাম অপু ও সাকিব আল হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৫ রানেই থামিয়ে দেয় কোর্টনি ওয়ালসের শিষ্যরা। জবাব দিতে নেমে ৬০ রানেই আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়েছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে দলকে একবারে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াল। কিন্তু রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণটা ঠিক মেলাতে পারেননি আরিফুল হক ও মাহমুদ উল্লাহ। টাইগারদের শেষ পর্যন্ত থেকে যায় এক রানের আক্ষেপ। যা অন্য সবার মত পোড়াচ্ছে সাকিবকে। বলেন ‘আগের দুই ম্যাচের চেয়ে আমরা ভালো খেলেছি। তবে সিরিজটা আমরা যেভাবে খেলেছি, অবশ্যই খুবই হতাশার। অনেক কিছুই খতিয়ে দেখার আছে এই সিরিজের পারফরম্যান্সের। আরও অনেক ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে আমাদের।’
প্রতিপক্ষের স্কোরকে নাগালের মধ্যেই রেখেছিল টাইগাররা। সাকিবের বিশ্বাস ছিল, এ রানটা সতীর্থরা তাড়া করতে পারবেন। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তাতে দারুণ হতাশ এ অলরাউন্ডার। জানান, ‘আমরা মোটামুটি জুতসই স্কোরে ওদের আটকে রাখতে পেরেছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল, এই রান তাড়া করার মতো ব্যাটিং আমাদের আছে। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে পারিনি। আজকে অনেক কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝের কিছু ওভারে মাত্র ৩-৪ রান করে হয়েছে। এটার মূল্য দিতে হয়েছে।’
সিরিজের শেষ ম্যাচ হারলেও সাকিব প্রশংসা করতে ভুলেননি মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহকে। ‘মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ভালো খেলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ করতে পারেনি। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটি হতেই পারে। যেটা বলেছি, অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে আমাদের।
আফগানদের বিপক্ষে এবারের সিরিজে কেন এমনটা হল। মোটেও বুঝতে পারছেন না সাকিব। এখনও উত্তরটা খুঁজছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমি নিজেও জানি না কেন এমন হচ্ছে। আমি নিজে অবশ্য কখনোই এই পরিস্থিতিতে পড়িনি। ব্যাটসম্যান কিংবা বোলাররাই ভালো বলতে পারবে এ সম্পর্কে। আমি মনে করি এটা মানসিক সীমাবদ্ধতা, বাধা। আমরা আজও মানসিক বাধাটা কাটিয়ে উঠতে পারলাম না।’
Discussion about this post