‘কিলার’ মিলার প্রাণ পেলে কতোটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, এটা রোববার বেশ টের পেল বাংলাদেশ। শুন্য রানে আউট হতে পারতেন তিনি। এরপর দুই রান তুলতেই ফের প্রাণ পেয়েছেন! এমন জীবন পেয়ে রীতিমতো বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান। ৩৫ বলে শতরান করলেন ডেভিড মিলার। টি-টুয়েন্টিতে দ্রুততম শতরানের বিশ্বরেকর্ড। তার এমন ইনিংসেই চাপা পড়ল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে ৮৩ রানে প্রোটিয়াদের কাছে হারল সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইট ওয়াশ হল বাংলাদেশ।
পচেফস্ট্রমে টস জিতে সাকিব প্রথমে বল হাতে নেন। শুরুটা ভাল হলেও শেষে এসে সব শেষ! তাসকিনদের বিধ্বস্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলে ২২৪ রান। এরপর জবাব দিতে নেমে সেই একই হাল, উইকেটে আসা আর যাওয়ার মিছিল। টাইগাররা ১৮.৩ ওভারে অলআউট ১৪১ রানে।
ম্যাচে ক্যাচ আর স্ট্যাম্পিং মিসের খেসারত দিল বাংলাদেশ। ডেভিড মিলার স্বদেশি রিচার্ড লেভির ৪৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডকে পেছনে ফেলে গড়েন নতুন রেকর্ড। ৩৫ বলেই শতরান। ৭টি চার আর ৯টি ছক্কা। ইনিংসের ১৯তম ওভারের সাইফউদ্দিনের প্রথম পাঁচ বলে টানা পাঁচটি ছক্কা হাঁকান মিলার। ভারতের যুবরাজ সিংয়ের ৬ বলে ছয় ছক্কার রেকর্ডটা প্রায় ভেঙ্গেই ফেলেন। তবে টি-টুয়েন্টি দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে মিলার ৩৬ বলে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তারও আগে হাশিম আমলা৫১বলে ৮৫ রান।
দলের একমাত্র সফল বোলার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অন্য বোলাররা বাকী ১৬ ওভারে দেন ২০২ রান!
তারপর জবাব দিতে নেমে গোটা সিরিজের সেই ব্যর্থ ব্যাটসম্যানেরই দেখা মিলে। দলের সংগ্রহে ৭২ রান যোগ হতেই সাজঘরে ৫ টপ অর্ডার। শুধু একটু লড়লেন সৌম্য সরকার। তার ব্যাটে ২৭ বলে ৪৪ রান। অন্যরা উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু যেন সারলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ব্যর্থতাতেই শেষ হল। প্রথমে টেস্ট, এরপর ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশ। সবশেষে টি-টুয়েন্টিতে ধবল ধোলাই। সত্যিকার অর্থেই দুঃস্বপ্নের সিরিজ।
Discussion about this post