তাহলে অধিনায়ত্বের শেষটা দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেখে ফেলেছেন মুশফিকুর রহীম? দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিপর্যয়ের পর তেমন খবরই শোনাচ্ছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো। সিরিজের দুটো টেস্টেই বাংলাদেশের ব্যর্থতার দায় যেন একাই নিতে হচ্ছে তাকে। বিশেষ করে টস জেতার পর টেস্ট অধিনায়কের নেয়া সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যার ফলে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বড় হার মানতে হয়েছে টাইগারদের। দ্বিতীয় টেস্টেও ফলোঅনে পড়ে দল কোনাঠাসা। এ অবস্থায় দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো তাদের এক প্রতিবেদন ইঙ্গিত দিয়েছে শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সিরিজেই বাংলাদেশ পেতে পারে নতুন টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু ডিসেম্বরের ওই সিরিজের টেস্টে কে নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ দলকে?
দৈনিকটির সঙ্গে বিসিবির এক পরিচালক বলেন, ‘দেখুন, আমরা মুশফিকের বিকল্প ভাবতে শুরু করেছি। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তাঁর কিছু বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সিদ্ধান্তও ভুল হচ্ছে।’ এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল বা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম। এক্ষেত্রে বোর্ডের আগ্রহটা সাকিবের প্রতি বেশি। এনিয়ে অবশ্য আলোচনা হয়নি বলেও জানান সেই পরিচালক। দৈনিকটিকে বলেন, ‘পরবর্তী টেস্ট সিরিজের আগে আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। মুশফিকের পরিবর্তে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেই আলোচনা এখনো হয়নি। বোর্ড নিশ্চয়ই ওদের সঙ্গে কথা বলবে।’
টেস্টে মুশফিকের সাফল্য দুর্দান্ত। সন্দেহ নেই তিনিই দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। আবার অধিনায়ক হিসেবে ১০টি টেস্ট জয়ের ৭টির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের আগে মোট ৩৩টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৭ জয়। ড্র ৯ টেস্টে। হার ১৭টিতে। বিশ্বসেরাদের বিপক্ষৈ দুর্দান্ত লড়েছে মুশির দল। তারপরও তার বিকল্প ভাবছে বিসিবি।
আরেক দৈনিক কালের কন্ঠ জানাচ্ছে এনিয়ে বেশ বিরক্ত মুশফিক। তিনি জানাচ্ছিলেন, ‘অধিনায়কত্ব না থাকলেও আমার সমস্যা নেই। আবার ধরেন কিপিং না থাকলেও সমস্যা নেই। এখন যদি বলা হয়, তোমাকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে সেরাটা দিতে হবে, তাতেও রাজি।’ মুলত কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একক আধিপত্যের কাছে কোনাঠাসা মুশফিক। কিপিং হারিয়েছেন। এমন কী মাঠে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না টেস্ট অধিনায়ক। তার ফিল্ডিং পজিশনটাও ঠিক করে দিচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
কে জানে এ অবস্থায় মুশফিক নিজের হয়তো তার নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে তার জায়গা বেশ পাকাপোক্ত আছে।
Discussion about this post