নিষ্টুর নিয়তির কাছে হার মানতেই হল। ফেরানো গেল না রবিউল আলমকে। এই নামটি অবশ্য ক্রিকেট ভক্তদের কাছে পরিচিত না মনে হতেই পারে। দুর্ভাগ্য, আলো ছড়ানোর আগেই নিভে গেল এই তরুনের প্রাণ! চির বিদায় নিলেন এই তরুন ক্রিকেটার। এইতো গত বছরের আগষ্ট মাসে অনুশীলনের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর হাসপাতালে নেয়া হলেও আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরতে পারেননি। জানতে পারেন দুঃসংবাদ-তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে গত বছর ডিসেম্বরে ভারতেও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা সংগ্রহ করতে পারেনি তার পরিবার।
তাকে নিয়ে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায়, প্রতিবেদন হয়েছিল টেলিভিশনে। সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকা রবিউল প্রায় সাত মাস ভর্তি থাকার পর গত জুনে মোহাম্মদপুরের সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কুমিল্লায় বাড়িতে নেওয়া হয় তাকে। গত ঈদুল আজহার সপ্তাহ খানেক আগে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন রবিউল। গত বৃহস্পতিবার তাকে ফের ভর্তি করা হয় সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রক্তে সংক্রমণে ভুগে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় চলে গেছেন অভাগা এই ক্রিকেটার।
সেই ২০১৫ সালে কুমিল্লা জেলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন রবিউল। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ‘মানিগ্রাম পেসার হান্টে’ কুমিল্লা অঞ্চলের সেরা বোলার। গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলতে ট্রায়ালে ভাল করে প্রতিভার দ্যুতি ছড়াতে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তার জীবন প্রদীপটাই নিভে গেল!
Discussion about this post