রীতিমতো বিস্ময়কর! চোখের পলকে বালির বাধের মতো ভেঙ্গে গেল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ! ৪০তম ওভারের দ্বিতীয় বল শেষেও তাদের স্কোর ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান। তেমন একটা অবস্থানে থেকেও মাত্র ১১ রান যোগ করে ৪৪.২ ওভারে অলআউট দলটি।
আগের দুই টেস্টে হারের প্রতিশোধটা ট্রেন্ট ব্রিজে নিয়ে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৩৩ রানে অলআউট করে তারা ম্যাচ জিতল ৩৪০ রানে। চার দিনেই টেস্ট সফরকারীদের।
ইতিহাস বলছে-গত ২৩ বছরে রানের হিসাবে এটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। আর টেস্ট ইতিহাস মিলিয়ে এটি তাদের চতুর্থ বৃহত্তম জয়। টেস্ট সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
ইংল্যান্ড হারতে যাচ্ছে, কিন্তু সোমবার এমন ভারাডুবি হবে কে জানতো? রেকর্ড ৪৭৪ রানের অবিশ্বাস্য এক লক্ষ্যের সামনে এক পর্যায়ে ৭৪ রানে যখন ৪ উইকেট শেষ। চা বিরতির আগে বাকীরাও চলে গেলেন সাজঘরে! ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরা ভারনন ফিল্যান্ডার।
এর আগে অবশ্য সিরিজের প্রথম টেস্টে লর্ডসে ২১১ রানের হেরেছিল প্রোটিয়ারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর –
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৩৫ ও ৩৪৩/৯ (ডিক্লে.)।
ইংল্যান্ড : ২০৫ ও ৪৪.২ ওভারে ১৩৩ (কুক ৪২, মঈন ২৭, স্টোকস ১৮, বেয়ারস্টো ১৬; ফিল্যান্ডার ৩/২৪, মহারাজ ৩/৪২)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৪০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ভারনন ফিল্যান্ডার।
সিরিজ : ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতা।
Discussion about this post