ভাগ্য সঙ্গেই থাকল বাংলাদেশের। টাইগাররা তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকে। হতাশ করেনি বেন স্টোকস আর ইয়ন মরগানরা। তারা বিদায় করে দিল অজিদের। শনিবার এজবাস্টনে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৪০ রানে জিতে ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের ইনিংসের ৪০.২ ওভারে বৃষ্টি শুরু হলে আর খেলা হয়নি। তখন ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে তাদের প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। ইংল্যান্ডের স্কোর সে সময় ৪ উইকেটে ২৪০। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতে গেল অবশ্য বিদায় নিত মাশরাফির দল। কিন্তু ইংলিশরা কৃতজ্ঞ করল।
১১ বছর পর আবারো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরেই সেমিফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। এবারই প্রথম আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
অবশ্য গত বিশ্বকাপে টাইগাররা খেলেছিল কোয়ার্টার-ফাইনালে। এমনিতে এশিয়া কাপ ও এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টির ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে টাইগারদের। সেই সাফল্য নিশ্চয়ই অনুপ্রেরণার উৎস হবে।
টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের কাছে বড় হারে টুর্নামেন্ট শুরু হয় মাশরাফিদের। যদিও সেখানে তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়া রান তুলেছিল তারা। তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারতে যাওয়া ম্যাচে বৃষ্টি বাঁচিয়ে দেয়। পরিত্যক্ত হওয়া সেই ম্যাচ থেকে পাওয়া এক পয়েন্টে টিকে থাকে দল।
তারপর গত শুক্রবার সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহর শতরানে নিউজিল্যান্ডকে টিকে থাকে লড়াইয়ে। আর শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৪০ রানে জিতে ইংল্যান্ড। ব্যস খুলে যায় স্বপ্নের দুয়ার।
ওয়েন মরগানের ইংল্যান্ড ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ সেরা। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে টাইগাররা।
Discussion about this post