সাগরিকার পাড়ে আরেকটা উৎসব মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন মুশফিক-সাব্বিররা। তাদের ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছিল গোটা বাংলাদেশকে। মনে হচ্ছিল পয়মন্ত সেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবারো হতাশ করবে না। ২৭৭ তো আর ছোট-খাট সংগ্রহ নয়। কিন্তু মাঠ এবং মাঠের বাইরের আকাশ ছোঁয়া উত্তেজনা চুপসে দিয়ে অলিখিত ‘ফাইনাল’ হয়ে উঠা ম্যাচটা সহজেই জিতে নিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারাল জস বাটলারের দল।
এই জয়ে সিরিজটাও ২-১ এ জিতে নিল সফরকারীরা। টানা সপ্তম ওয়ানডে সিরিজ জেতা হল না টাইগারদের।
চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তুলে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ও ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমানের প্রায় ফিফটিতে এই সংগ্রহ গড়েছে টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে ১৩ বল হাতে রেখে ও ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজটাও জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
এদিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা। বর্তমানে মাশরাফির উইকেটসংখ্যা ২১৬টি। সাকিবের শিকার ২১৫টি। এই উইকেট পেতে মাশরাফিকে খেলতে হয়েছে ১৬৬ ম্যাচ। সাকিব খেলেছেন ১৬২ ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৭/৬ (মুশফিক ৬৭, সাব্বির ৪৯, ইমরুল ৪৬, তামিম ৪৫, মোসাদ্দেক ৩৮; রশিদ ৪/৪৩, স্টোকস ১/২৪)
ইংল্যান্ড: ৪৭.৫ ওভারে ২৭৮/৬ (ডাকেট ৬৩, বিলিংস ৬২, ভিন্স ৩২, স্টোকস ৪৭*, ওকস ২৭*; শফিউল ২/৬১, মাশরাফি ২/৫১, নাসির ১/৫৩)
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: আদিল রশিদ
সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী
সিরিজসেরা: বেন স্টোকস
Discussion about this post