একেই বলে প্রত্যাবর্তন। ম্যাচটা প্রায় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। মনে হচ্ছিল দু’বছর আগের সেই দুঃস্বপ্নেরই বুঝি ফের মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের ১ মার্চ ফতুল্লায় আফগানদের কাছে ৩২ রানে হেরেছিল দল! আড়াই বছর পর তেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেল টাইগাররা। রহমত শাহ-হাসমতউল্লাহ শাহিদী ব্যাটিং বীরত্বে গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। তাদের সেই লড়াইটা শেষ পর্যন্ত রূপকথার জন্ম দেয়নি। বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠা তাসকিন আহমেদ শিকার করেন ৪ উইকেট। সাকিব-মাশরাফি দুটি করে। তাতেই ৭ রানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচের টস জিতেন মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষেই ছ। ব্যাটিং নিতে অবশ্য দেরি করেননি টাইগার ক্যাপ্টেন। দল ৫০ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে ২৬৫ রান। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান ৫০ ওভারে অলআউট হয়ে করে ২৫৮ রান। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
ভয়ংকর হয়ে উঠা হাসমত ফিরে যান ৭২ রানে। মোহাম্মদ নবি আউট ৩০ রানে। রহমত ৭১। ৫৯ রানে ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি এবং সাকিব আল হাসান।
এর আগে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৮০। এই রান করার পথে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টি তিন ফরম্যাট মিলিয়ে পেরিয়ে যান ৯ হাজার রানের মাইলফলক।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় করেন ৭৪ বলে ৬২ রান। ৪০ বলে ৪৮ রান করেন সাকিব।
দৌলত জারদান ৭৩ রানে ৪ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ ও নবি।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই মিরপুরেই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে মাশরাফি আর আসহার স্টানেজাইয়ের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৬৫/১০ (তামিম ৮০, সৌম্য ০, কায়েস ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ৬২, সাকিব ৪৮, তাইজুল ১১; জাদরান ৪/৭৩, মোহাম্মদ নবী ২/৪০, রাশিদ ২/৩৭, নাভিদ ১/৬২ ও আশরাফ ১/৫১)
আফগানিস্তান: ৫০ ওভারে ২৫৮/১০ (রহমত ৭১, হাসমতউল্লাহ ৭২, শাহজাদ ৩১, নবি ৩০; মাশরাফি ২/৪২, তাসকিন ৪/৫৯, সাকিব ২/২৬, রুবেল ১/৬২, তাইজুল ১/৪৪)
ফল: বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান
Discussion about this post