সোমবার শেষ বিকেলের আগে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলম ধর্মঘট দেখে দোতলায় ডাইনিং রুমে খেলোয়াড়দের ডেকেছিলেন। সেখানে তিনি খেলোয়াড়দের অনুশীলন নিয়ে নানান কথা বলছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি রাসেল খান বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স এসে খেলোয়াড়দের ধমকাতে শুরু করেন। এর রেশ ধরে পাকিস্তানি কোচকেও তুনোধুনো করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ এক পর্যায়ে চেয়ার তুলে মারতে উদ্যত হন সাবেক খেলোয়াড় প্রিন্স!
পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলম বলেছেন, ‘আমি বিকেলে সূচি অনুযায়ী মাঠে অনুশীলন করাতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি কিছু লোক আমরা যেখানে বসি সেখানে বসে আছে। পরে আমি ডাইনিং হলে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করার জন্য সভায় বসি। সেখানে ১৭ জন খেলোয়াড় উপস্থিত ছিল। আমি তাদের বলেছি এখন যা ঘটছে তা কমিটি দেখবে। তোমাদের কাজ হল খেলা, তোমরা খেলায় মনোযোগ দাও, আমাদের লক্ষ্য এশিয়া কাপে ভালো করা।’ তারপর তার কথা, ‘এর মধ্যেই চার-পাঁচজন বাজে লোক এলো এবং আমার খেলোয়াড়দের চার্জ করতে শুরু করল-কেন তারা আমার সঙ্গে কথা বলছে। সেই সঙ্গে তারা আমাদের জিজ্ঞাসা করল আমি কে? অকথ্য ভাষায় গালাগাল করল প্রিন্স নিজেই। তারপর খেলোয়াড়দের ডাইনিং রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলল, আমাকে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে দেবে না। এক পর্যায়ে তো চেয়ার তুলে মারার উপক্রম হল। পরে আমি পুরো বিষয়টা হকি ফেডারেশনের সভাপতিকে জানিয়েছি। বলেছি, কিছু লোক হকি খেলাটিকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। শুনলাম ওরা নাকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির কর্মকর্তা। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়নি তারা হকির কল্যাণ চায়।’
Discussion about this post