ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। শনিবার শুধু ব্যর্থতার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকল। ব্যাটসম্যানদের ভুলে ঢাকা টেস্টে হার মানল বাংলাদেশ। পাকিস্তান চার দিনই দ্বিতীয় টেস্টে জিতল ৩২৮ রানে। তাতেই সিরিজ হেরে গেছে মুশফিকুর রহীমের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ২২১ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ তাদের।
অবশ্য হারই যেন অবধারিত ছিল। জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো তাদের। কিন্তু সেটা না করে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ব্যাটসম্যানরা।
তাতেই বাংলাদেশ সফরে শেষ ম্যাচে এসে জিতল পাকিস্তান। ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতল সফরকারীরা।
তবে এর আগে পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের। ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে মাশরাফির দল। এরপর ১-০ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ১ম ইনিংসে ৫৫৭/৮ ডিক্লে. (হাফিজ ৮, সামি ১৯, আজহার ২২৬, ইউনুস ১৪৮, মিসবাহ ৯, শফিক ১০৭, সরফরাজ ২১*, ওয়াহাব ৪, ইয়াসির ০; তাইজুল ৩/১৭৯, শহীদ ২/৭২, শুভাগত ২/৭৬, সাকিব ১/১৩৬) ও ২য় ইনিংসে ১৯৫/৬ ডিক্লে. (হাফিজ ০, সামি ৮, আজহার ২৫, ইউনুস ৩৯, মিসবাহ ৮২, শফিক ১৫, সরফরাজ ১৮*; শহীদ ২/২৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৮, শুভাগত ১/১৮, সৌম্য ১/৪৫, তাইজুল ১/৫৬)
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ২০৩/১০ (তামিম ৪, ইমরুল ৩২, মুমিনুল ১৩, মাহমুদউল্লাহ ২৮, সাকিব ৮৯*, মুশফিক ১২, সৌম্য ৩, শুভাগত ০, তাইজুল ১৫; ইয়াসিন ৩/৫৮, ওয়াহাব ৩/৭৩, জুনায়েদ ২/২৬, হাফিজ ১/১৩) ও ২য় ইনিংসে ২২১/১০ (তামিম ৪২, ইমরুল ১৬, মুমিনুল ৬৮, মাহমুদউল্লাহ ২, সাকিব ১৩, মুশফিক ০, সৌম্য ১, শুভাগত ৩৯, তাইজুল ১০, শহীদ ১৪*; ইয়াসির ৪/৭৩, ইমরান ২/৫৬, হাফিজ ১/৩, ওয়াহাব ১/৩৬, জুনায়েদ ১/৪৫)
ফল: পাকিস্তান ৩২৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: আজহার আলি
সিরিজ: ২ টেস্টের সিরিজ পাকিস্তান ১-০ ‘তে জয়ী
সিরিজসেরা: আজহার আলি
Discussion about this post