বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সেরা সময় চলছে। প্রতিপক্ষের সামনে দেশের মাটিতে রাজত্ব করছেন পেসাররা। এই যেমন এবার হাসান মাহমুদ পা রাখলেন নতুন উচ্চতায়। বৃহস্পতিবার সিলেঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩২ রানে তুললেন ৫ উইকেট। এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা সাফল্য।
আর দলও এদিন পেলো অনায়াস জয়। ১০২ রানের চ্যালেঞ্জে নেমে হেসে-খেলে উড়ল টিম টাইগার। তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের এটি প্রথম ১০ উইকেটের জয়। এই সাফল্যের রূপকার পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন চৌধুরী। টাইগারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৭ বছরের ইতিহাসে ৬৯২ ম্যাচে এই প্রথমবার প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট পেলেন পেস বোলাররা।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে হাসান ৮.১ ওভারে এক মেডেনসহ ৩২ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। তাসকিন ৩ ও ইবাদত হোসেন তুলেন ২ উইকেট। বিস্ময়কর হলেও সত্য সাকিব আল হাসানকে এক ওভারও করতে হয়নি। দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে করেন মাত্র ৪ ওভার।
সিলেটের মাঠে ১০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-লিটন দাসের ব্যাটে ১৩.১ ওভারে জয়ের বন্দরে পা রাখে বাংলাদেশ। লিটন ৫০ ও তামিম ৪১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল স্বাগতিকরা। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এর চেয়ে দ্রুত জয় রয়েছে মাত্র একটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে ৪৫ রানের লক্ষ্য মাত্র ১১.৫ ওভারে করে ফেলেছিল তারা।
পেসারদের এমন সাফল্যে দারুণ খুশি অ্যালান ডোনাল্ড। তিনিই এখন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ। সেই দক্ষিণ আফ্রিকান বলছিলেন, ‘দেখুন, পেসারদের মানসিকতা হতে হবে আগ্রাসী। কাউকে এমন একটি ভূমিকা দিতে হবে যে, আমি যা করতে পারি সে-ও তা করতে সক্ষম হতে পারে। ওরা আকুতোভয় মানসিকতা নিয়ে পেসারদের যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমি এমনটাই সব সময় চেয়েছি।’
Discussion about this post