ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটারের তালিকা করতে গেলে তার নামটি সামনের সারিতেই থাকবে। সেই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম মানুষ হিসেবেও দুর্দান্ত! প্রায়ই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান এই তারকা ক্রিকেটার। এ কারণেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে থাকতে চান আর্ত মানুষের পাশে। তার পথ ধরেই গড়লেন নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন। সেই মুশফিকুর রহিম ফাউন্ডেশনের পথচলা শুরু হলো।
মঙ্গলবার সুখবর দিলেন মুশফিক। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে শুরু হল তার ফাউন্ডেশনের পথচলা। কার্যক্রম শুরু হলো তার নিজ জেলা বগুড়া থেকেই। জেলার সারিয়াকান্দি থানার বোহাইল ইউনিয়নের বোহাইল গ্রাম ও ধারাভার্ষা চরের অসহায়দের জন্য গেল তার সাহায্য। বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করল মুশফিকুর রহিম ফাউন্ডেশন।
মুশফিকের ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে এ কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বগুড়া ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা।
তারও আগে করোনার দুঃসময়েও অসহায়দের পাশে ছিলেন মুশফিক। এবার নিজের ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করলেন মহতি এই উদ্যোগ।
মঙ্গলবার ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে মুশফিক লিখেছেন, ”যতদূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। দিগন্তে সবুজের হাতছানি। ভরাট যৌবনা নদীর বুক চিরে এগিয়ে চলা পালতোলা নৌকা আর মাছরাঙার জলকেলি। দর্শানার্থীদের জন্যে চোখ ঝলসানো সৌন্দর্য, আর নদীর দুপাশে বসবাসরত মানুষের জন্যে মূর্তিমান আতঙ্ক। একে করোনার ছোবল, তার উপর বন্যার নির্যাতন। স্বাভাবিক জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন। সমস্ত ফসল, বসতবাড়ি পানির নিচে, ভয়ালদর্শন স্রোতে গ্রামের অনেকখানি নদীগর্ভে।
চিরকাল খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ বড্ড অসহায়। নিয়তি মেনে নেয়া সজল চোখে, আজ শুধুই সাহায্যের আকুতি। সব খবর জেনে সিদ্ধান্ত নেই, এই মানুষগুলোর কাছে আমার, সামান্য সম্মান মোড়ানো ভালোবাসা পৌছাতেই হবে। এটা আমার দায়িত্ব। এরপরের গল্পটা, শুধুই মুখে হাসি ফোটানোর গল্প।
আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায়, গত দুইদিন আগে, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার বোহাইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বোহাইল গ্রাম ও ধারাভার্ষা চরে, বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে আমার স্বপ্নের Mushfiqur Rahim Foundation আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ত্রাণ বিতরণের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বগুড়া ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানাচ্ছি।”
Discussion about this post