ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকবছর ধরেই দাপটে খেলে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে ভাগ্য কিছুতেই সঙ্গ দিচ্ছিল না তার। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ম্যাচের পর আটকে যায় রনি তালুকদারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে হাল ছাড়েন নি। তাইতো এবার পুরস্কার পেলেন। দীর্ঘ আট বছরে ফের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলার সুযোগ হলো তার।
এ বছর ফের ফিরেছেন জাতীয় দলে। সেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশেও থাকলে তিনি। তাতেই রনির নাম উঠল রেকর্ডবুকে। সবচেয়ে বেশি সময় পর একাদশে নাম ওঠা ক্রিকেটারদের তালিকায় সবার ওপরে রনি তালুকদার। এই রেকর্ড গড়ার সময় পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদকে। তিনিও খেলেন এই ম্যাচে।
রনি তালুকদারের অভিষেকের ওই ম্যাচের পর বাংলাদেশ খেলেছে ১০০ ম্যাচ। রনি একাদশে ফিরেন ১০০ ম্যাচ পর।ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেভন থমাস দলে ফিরেছিলেন ১০২ ম্যাচ বিরতি দিয়ে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রনির মাঠে নামাটা অবশ্য রেকর্ড। ৭৯ ম্যাচ বিরতির পর দলে ফিরেছিলেন এনামুল হক বিজয়।
রনি তালুকদারের প্রত্যাবর্তনটা ৭ বছর ২৪১ দিন পর। এনামুল বিজয় দলে ফেরেন ৬ বছর ২২৯ দিন বিরতির পর। বিপিএলের এবার ১৩ ম্যাচে ৩৫.৪২ গড় আর ১২৯.১৮ স্ট্রাইকরেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২৫ রান করেন। তার পথ ধরে জায়গা পেলেন জাতীয় দলে।
চট্টগ্রামে মোটামুটি সফলও তিনি। ১৪ বল খেলে করেন ২১ রান। এদিন অভিষেক হলো তৌহিদ হৃদয়ের। বাংলাদেশের ৭৮তম টি-টুয়েন্টি ক্যাপ পেলেন এই ডানহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান। তিনি ঝড় তুলে ইংলিশদের বিপক্ষে ১৭ বলে করেন ২৪ রান।
Discussion about this post