হারের দুঃখ তারা পেয়েছে আগের ম্যাচেই। এখন সামনে আরও বড় ভয়-ধবল ধোলাইয়ের আশঙ্কা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, লক্ষ্য একটাই-সিরিজে অন্তত একটি জয় তুলে সম্মান রক্ষা করা।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে সিরিজের শেষ লড়াই। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টেলিভিশন।
দুই ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতা স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রথম ম্যাচে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস ১৫০-এর নিচে, হারে ১৬ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই গল্প, ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ থামে ১৩৫ রানে, হারে ১৪ রানে। ফলে আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটারদের সহায় মনে হলেও বাংলাদেশের ইনিংসে ডট বলের সংখ্যা ভয়ানকভাবে বেড়েছে। প্রথম ম্যাচে ৪৮, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫০টি ডট বল খেলেছেন ব্যাটাররা। এই জায়গাটিই এখন ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বলেন, “আমরা যদি ডট বল কম খেলতে পারতাম তাহলে চাপটা কমে যেত। কিন্তু আমরা পারিনি। মিডল ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করার উপায় বের করতে হবে।”
দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য একসময় জয়ের কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ। ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছিল তারা। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩৩ রান। কিন্তু তখনই ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ-শেষ তিন ওভারে মাত্র ১৮ রান তুলেই হারতে হয়।
বোলিং বিভাগে অবশ্য বাংলাদেশের প্রশংসা প্রাপ্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান তুলতে পারে মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। মুস্তাফিজ নেন ৩ উইকেট, নাসুম ও রিশাদ নেন ২টি করে।
তানজিদও স্বীকার করেছেন বোলাররাই দলকে বাঁচিয়ে রাখছে, ‘আমাদের বোলিং বিভাগ সত্যিই বিশ্বমানের। তারা নিয়মিত প্রতিপক্ষকে বড় স্কোর করতে দিচ্ছে না। এখন দায়িত্ব ব্যাটারদের-আমাদের আরও ভালো করতে হবে।’
অন্যদিকে, প্রতিশোধের মিশনে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত বছর ঢাকায় বাংলাদেশ তাদেরকে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। এবার সুযোগ এসেছে সেই হোয়াইটওয়াশের বদলা নেওয়ার। দলের ওপেনার অ্যালিক আথানাজে জানিয়েছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাই। কাউকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। শুক্রবার আমরা সেরাটা দিতে চাই।’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২১ বার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ১১টিতে, বাংলাদেশ ৮টিতে। বাকি দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত। আজকের ম্যাচ তাই কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়-বরং বাংলাদেশের আত্মসম্মান রক্ষারও লড়াই।
 
			 
                                









Discussion about this post