ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুর্ভাগা নাকি সুপার ফ্লপ? উত্তর অবশ্য জানা নেই কারো। তবে এটা বলেই দেওয়া যায় জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থ তিনি। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে মিলেছে সবগুলো বড় ট্রফি। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সিতে কিছুই করা হচ্ছে না লিওনেল মেসির!
বুধবার কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও পারলেন না মেসি। যে কারণে ব্রাজিলের কাছে ০-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এরপরই অনেকে বলতে শুরু করেছেন লিওনেল মেসির জাতীয় দলের ক্যারিয়ার শেষ। এর আগে গত বছর রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষে হঠাৎ সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর ফিরে এসে ব্যর্থ!
তবে হাল ছাড়ছেন না মেসি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম কোন মেজর শিরোপা এনে দেওয়ার জন্য ফের নতুন লড়াইয়ে নামতে চাইছেন তিনি।
যদিও অনেক হয়েছে। এখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে লিওলেন মেসি। এ অবস্থায় কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে চেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ফের স্বপ্ন ভেঙেছে! এর আগে অবশ্য ২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীদের। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যায় তার দল।
একাধিকবার বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। এর পেছনে কারণ হিসেবে দলের সঙ্গে কম সময় দেওয়াটাই সামনে এনেছেন মেসি। তাই দল নিয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনার চিন্তা করছেন তিনি, ‘যদি আমার সহায়তা চায় জাতীয় দল, যে করেই হোক তা করব আমি। এ দলের সঙ্গে খেলে আনন্দ পেয়েছি। ম্যাচের ফল হয়তো আমাদের বিপক্ষে চলে গেছে। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, প্রয়োজনের সময় আমরা দাপটে পারফর্ম করতে পারি।’
একাধিকবার সুযোগ পেয়েও ব্রাজিলের রক্ষণের শক্ত দেওয়াল ভাঙতে পারেনি আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডরা। তারপরও সতীর্থদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন মেসি, ‘আমার চোখে, বুধবার আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের চেষ্টায় কোনো কমতি ছিল না। প্রমাণ করেছি ব্রাজিল আমাদের চেয়ে সেরা দল নয়।’
ব্রাজিলের বিপক্ষে রেফারির পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট তিনি, ‘ব্রাজিল একটু আগেই লিড নিয়ে ফেলে। কিন্তু আগুয়েরো ন্যায্য পেনাল্টি পায়নি। আমার মতে, ওটামেন্ডি ও আর আগুয়েরোর দুটো পেনাল্টিই আমাদের প্রাপ্ত্য। কিন্তু আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ম্যাচ অফিসিয়ালরা খুব বাজে ভাবে খেলা পরিচালনা করেছে। প্রয়োজন থাকলেও ভিএআরের সহায়তা নেননি রেফারি’
Discussion about this post