টানা জয়ের মধ্যেই ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ছন্দ হারাল গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শীর্ষে থাকা দলটিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। সেঞ্চুরি করেছেন আব্দুল মজিদ। বিকেএসপিতে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতির বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২৭ রানে জিতেছে আবাহনী। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে হারায় ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে।
গাজী ট্যাংক-কলাবাগান সিএ
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গাজী ট্যাংক ৪৯.৫ ওভারে করে ২০৪ রান। দলের ইমরুল কায়েস করেন ৮৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি ৮.৫ ওভার বাকী থাকতেই ৯ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। আবুল মজিদ করেন ১০২ রান। হ্যামিলটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান।
তবে হেরেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে গাজী ট্যাংক। তাদের, প্রাইম দোলেশ্বর ও মোহামেডান তিন দলেরই নয় ম্যাচে পয়েন্ট ১২। নেট রানরেটে শীর্ষে গাজী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী ট্যাংক : ২০৪/১০, ৪৯.৫ ওভার (ইমরুল ৮৩, হামিদুল ২২, আফতাব ২২; জাকারিয়া ২/২৩, অভিষেক ২/৪১)।
কলাবাগান : ২০৭/১, ৪১.১ ওভার (আবদুল ১০২*, মাসাকাদজা ৭৭*)।
ফল : কলাবাগান সিএ ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : আবদুল মজিদ।
শেখ জামাল-খেলাঘর
বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের আরেক ম্যাচে খেলাঘর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে ১৯০ রান তুলে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ৩৫.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শেখ জামাল। মুনাবিরা করেন ৮৮ রান। জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম করে যান ৩৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খেলাঘর : ১৯০/১০, ৪৬.৫ ওভার (মুলানে ৪৪, ভ্যানডর্ট ৪০, নিয়াজ ৩০; ইলিয়াস ৪/২২, নাহিদুর ২/২৬, পেরেরা ২/২৫)। শেখ জামাল : ১৯৪/৪, ৩৫.২ ওভার (মুনাবিরা ৮৮, মুশফিক ৩৫; ফয়সাল ১/৩১)। ফল : শেখ জামাল ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : ইলিয়াস সানি।
আবাহনী-ব্রাদার্স
বিকেএসপির আরেক মাঠে লড়ছে আবাহনী এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আবাহনী প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২২৭ রান তুলে অলআউট হয়ে যায়। এর জবাবে খেলতে নেমে ব্রাদার্স রান ৪৬.১ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে ২০০ রান। আবাহনীর শামসুল আলম ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ের নায়ক হয়ে যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী : ২২৭/১০, ৪৯.৩ ওভার (স্মিথ ৬২, আলাউদ্দিন বাবু ৪৪, নাফীস ৪৩; শুভ ৪/৪১, কাপালি ২/৩০)। ব্রাদার্স : ২০০/১০, ৪৬.১ ওভার (জসিমউদ্দিন ৩৩, সামারাবিরা ২৮; শামসুল ৫/৩৭, আল-আমিন ২/৩৪)। ফল : আবাহনী ২৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : শামসুল আলম।
ভিক্টোরিয়া-প্রাইম ব্যাংক
মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ভিক্টোরিয়া ৪০.১ ওভারে মাত্র ১৩৪ রানেই শেষ হয়ে যায়। নাসির হোসেন ৩৫ এবং মাইশুকুর রহমান ৩৩ রান করেন। জবাবে মাত্র ২৬.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে ম্যাচ জিতে যায় প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার সৈকত অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভিক্টোরিয়া : ১৩৪/১০, ৪০.১ ওভার (নাসির ৩৫, মাইশুকুর ৩৩, রবিউল ২৫; এনামুল ৩/১৮, ডসন ৩/২৪)। প্রাইম ব্যাংক : ১৩৮/৩, ২৬.১ ওভার (সৈকত ৮১, রুম্মান ২৫; মারজান ২/৪৪)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : এনামুল জুনিয়র।
Discussion about this post