ব্যাট হাতে শূন্য, বল হাতে ব্যর্থতা- এমন এক দিনে মাঠ ছাড়লেন সাকিব আল হাসান। কানাডার সুপার সিক্সটিতে মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্সের হয়ে নামা বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের দিনটি ছিল একেবারেই দুঃস্বপ্নের মতো। ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাকের পাশাপাশি তার করা একমাত্র ওভারে উঠেছে ২৭ রান।
ভ্যানকুভারে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক ভ্যানকুভার নাইটস টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে রানের পাহাড় গড়ে। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২০৬ রান, টি–টেন ক্রিকেটে যা একেবারেই বিরল দৃশ্য!
দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নিউজিল্যান্ডের ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার ম্যাক্স চু। মাত্র ২৩ বলের ইনিংসে তিনি করেন ৮২ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৫৬.৫২। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৯টি ছক্কা। উদ্বোধনী জুটিতে নোমান আনোয়ারের সঙ্গে গড়ে তোলেন ১৪০ রানের বিস্ময়কর পার্টনারশিপ, মাত্র ৬ ওভারে!
নোমানও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে, ১৭ বলে করেন ৪৪ রান। অধিনায়ক ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস যোগ করেন ১৪ বলে ৫৩, যেখানে ছিল এক চার ও সাতটি ছক্কা। এই তিনজনের ঝড়ে সাকিবের নেতৃত্বাধীন বোলিং ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে আসেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তার ওভারটি যেন রানের উৎসবে পরিণত হয়। দুটি ছক্কা ও দুটি চারের পাশাপাশি ওয়াইডে অতিরিক্ত চার রান দিয়ে সেই এক ওভারেই ব্যয় করেন ২৭ রান। এর পর থেকে আর তাঁকে বল হাতে দেখা যায়নি। দলের হয়ে কিছুটা সান্ত্বনা এনে দেন ইসুরু উদানা ও রায়ান হিগিন্স—দুজনেই নেন দুটি করে উইকেট।
বিপুল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা যদিও দুর্দান্ত করেছিল মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্স। প্রথম ১৩ বলেই দল তোলে ৪৯ রান। জশ ব্রাউনের ব্যাটে আসে আগ্রাসী ১০ বলে ৩৯ রান। কিন্তু তাঁর বিদায়ের পরেই ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে।
মাঝের সারিতে কেউই দাঁড়াতে পারেননি-নিক হবসন, দিলপ্রিত বাজওয়া, হিগিন্স কিংবা অধিনায়ক সাকিব, কেউই দলকে টেনে তুলতে পারেননি। বালতেজ সিংয়ের বলে নোমান আনোয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম বলেই আউট হন সাকিব, রানের খাতা খুলতে না পেরেই ফিরে যান ডাগআউটে।
শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানে থামে মন্ট্রিয়াল টাইগার্সের ইনিংস। ফলে ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ভ্যানকুভার নাইটস। তাদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন বালতেজ সিং, তাজিন্দর সিং ও অধিনায়ক ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।
Discussion about this post