আরো একবার অস্ট্রেলিয়ার ত্রানকর্তা হিসেবে দেখা গেল স্টিভেন স্মিথকে। পুরো অ্যাশেজ সিরিজেই ব্যাট হাতে রান করে যাচ্ছেন তিনি। শনিবার মেলবোর্নে সেটা আরো একবার দেখালেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। দলের বিপদের মূহুর্তে ধরলেন হাল। এক পর্যায়ে আবার হাঁকালেন ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি। তাতেই হতাশা বেড়েছে ইংল্যান্ডের। প্রতিপক্ষের জেতার সম্ভাবনা যে একাই শেষ করে দিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হয়েছে ড্র।
শনিবার ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে প্রায় পুরোটা দিনই ব্যাট করেন স্মিথ। তারপরও দলটির খাতায় মাত্র আগের দিনের সঙ্গে যোগ হয় মাত্র ১৬০ রান। ওভার প্রতি তুলে ২.৪২ রান করে। প্রায় ২৪ বছরের মধ্যে দেশের মাটিতে এটি তাদের সর্বনিম্ন রান রেট।
৪ উইকেটে ২৬৩ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। সে সময় স্মিথ ১০২ ও মিচেল মার্শ ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুই জনে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ৪৮.২ ওভারে যোগ করেন ৮৫ রান।
চলতি অ্যাশেজ সিরিজে এ ড্রয়ে হারের বৃত্ত থেকে বের হলো ইংল্যান্ড। ২ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। সাবধানী ছিলেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুই জনে প্রথম ১৪ ওভারে তুলেন মাত্র ২০ রান। ১৬১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন ওয়ার্নার। এরপর মারমুখী ভুমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। কিন্তু জো রুটের স্পিনে এক পর্যায়ে ৮৬ রানে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান অজি এ ওপেনার। কিছুক্ষণ পরই তার দেখানো পথ অনুসরণ করেন শন মার্শ। তবে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন স্মিথ। মিশেল মার্শকে নিয়ে দলের লিড বাড়াতে থাকেন। দিনের প্রায় শেষভাগে এ ডানহাতি তুলে নেন সেঞ্চুরি। ঠিক তার পরই ৪ উইকেটে ২৬৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
দুই ব্যাটিং কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান ও সুনিল গাভাস্কারের পর সবচেয়ে কম ইনিংসে ২৩ টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন স্মিথ। এই সেঞ্চুরি নিয়ে চলতি বছর এ ডানহাতি টেস্টে করলেন সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৩২৭/১০ ও ২য় ইনিংস: ১২৪.২ ওভারে ২৬৩/৪ ডিক্লে. (ব্যানক্রফট ২৭, ওয়ার্নার ৮৬, খাওয়াজা ১১, স্মিথ ১০২, শন মার্শ ৪, মিচেল মার্শ ২৯*; অ্যান্ডারসন ১/৪৬, ব্রড ১/৪৪, ওকস ১/৬২, কুরান ০/৫৩, মইন ০/৩২, মালান ০/২১, রুট ১/১)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৯১/১০
ফল: ড্র
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
ম্যাচসেরা: অ্যালেস্টার কুক
Discussion about this post