তার প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন নেই কারোর। তিনি যখন খেলেন তখন মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায়। কিন্তু সময়টা প্রায়ই ভাল যায় না তার। বিশেষ করে ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টিতে। টেস্টে দাপট ধরে রেখে তুলে নিয়েছেন আরেকটি সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে সতীর্থরা যখন একের পর এক ব্যর্থ তখন একাই প্রাচীর তুলে দাঁড়ালেন লিটন কুমার দাস।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তুলে নিলেন শতরান। অবশ্য সফরে দুটি টেস্টেই সফল তিনি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টে ৮৬ রানের ইনিংস খেলার পর এবার করলেন ১০২। দেখার মতো এক ইনিংস। শিল্পিত শতরান।
মঙ্গলবার শেষ টেস্টে মোহাম্মদ নাঈমের বিদায়ের পর উইকেটে যান লিটন দাস। এরপর দেখে-শুনে খেলতে থাকেন। অবশ্য ব্যক্তিগত ৪ রানে সফল রিভিউতে বেঁচে রক্ষা। তারপর সময়ের সঙ্গে মানিয়ে খেলে গেছেন চেনা ছন্দে। প্রথম ৩০ বলে রাতুলেন ৬। প্রথম বাউন্ডারিটি করেন ৪৬তম বলে।
তারপর মানিয়ে নিয়ে খেলে গেছেন দাপটে। হাঁকিয়েছেন একের পর এক বাউন্ডারি। ৬৯ বলে ফিফটি তুলে নেন। এক পর্যায়ে ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ ফিরে যাওয়ার সময় লিটনের সংগ্রহে ৯৭ বলে ৮১ রান। জেমিসনের ওভারে এক চার ও তিনটি দুইয়ে পৌঁছান শতরানে।
অবশ্য দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পরই ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। ১১৪ বলে খেলা তার ১০২ রানের ইনিংসে ছিল ১৪ চার ও এক ছক্কা। টেস্টে সবশেষ ১৬ ইনিংসে খেলেছেন নয়টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস, এরমধ্যে দুটি সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন এখন লিটন কুমার দাস!
Discussion about this post