শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণার পর সবচেয়ে আলোচিত অনুপস্থিতি-নুরুল হাসান সোহান। নামটি তালিকায় নেই, অথচ মাঠে তার পারফরম্যান্স, নেতৃত্বগুণ, এবং গ্লাভস হাতে নির্ভরতা—সবই বর্তমান ক্রিকেট বাস্তবতায় যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। তবু নির্বাচকরা এবারও পাশ কাটিয়ে গেলেন সোহানকে।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু যদিও দাবি করেছেন, ‘সোহান আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’ বাস্তবতা বলছে, সোহান বারবার এই ‘পরিকল্পনার খাতায়’ নাম থাকলেও মাঠে জায়গা পাচ্ছেন না।
লিপু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন-একাদশে একাধিক উইকেটরক্ষক রাখা যায় না। সেই জায়গায় প্রাধান্য পাচ্ছেন লিটন দাস। কারণ? অভিজ্ঞতা, সাম্প্রতিক দায়িত্ব এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে বোর্ডের নতুন ভরসা তিনি। লিপু বলেন, ‘লিটন খারাপ সময় পেছনে ফেলছেন, তাকে ওয়ানডেতে স্থায়ীভাবে খেলিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।’
এই অবস্থায় সোহান, যিনি ব্যাট হাতে ছয়-সাতে কার্যকর ফিনিশার হতে পারেন, যিনি দলকে নেতৃত্ব দিতে জানেন, তাকেই জায়গা করতে হচ্ছে ‘প্রতীক্ষমাণদের’ কাতারে।
প্রধান নির্বাচক বারবার উল্লেখ করেছেন গ্লোবাল সুপার লিগের কথা। যেখানে সোহান খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। লিপুর যুক্তি, এটা জাতীয় দলে না থাকলেও আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রমাণের বড় সুযোগ, ‘আমরা মনে করি যারা শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন না, তারা এই লিগে খেলেই নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারবেন।’
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়-জাতীয় দলের উপেক্ষা কি শুধুই ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত, নাকি পরোক্ষভাবে গ্লোবাল লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতেই রাখা হয়েছে বাইরে?
লিপু নিজেও বলছেন, ‘সোহানের চোট না হলে সে এখন আরও ভালো অবস্থানে থাকত। সে এখন ফর্মের তুঙ্গে আছে। তবে আমরা চাই কেউ দলে এলে যেন একাদশেও জায়গা করে নিতে পারে।’
সোহান কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের ‘এ’ দলের বিপক্ষে দারুণ খেলেন। চারদিনের ম্যাচ (১০৭) ও ওয়ানডে সিরিজেও শতরান (১১২) করেন এই উইকেট কিপার-ব্যাটার। প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও সমান অর্ধশতকসহ ৫১২ রান করেন তিনি।
Discussion about this post