তিনি ভাল করেই জানেন পারফরম্যান্সই শেষ কথা। ব্যাট হাতে দাপট দেখাতে পারলেই মেলে প্রশংসা। সেই কাজটিই এখন করছেন লিটন কুমার দাস। ব্যাটিং পজিশন বড় নয় তার কাছে, পারফরম্যান্সই শেষ কথা। এখন তো টেস্টে লোয়ার অর্ডারে নেমেও দারুণ সফল। ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে লিটন ওপেনার হলেও টেস্টে তিনি লোয়ার মিডল অর্ডারে।
টেস্ট ক্রিকেটে গোটা মৌসুম জুড়ে ব্যাট হাতে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেয়েছেন শতরান। টেস্টে ২০২১ সাল থেকে এখন অব্দি শুরু থেকে হিসাব করলে লিটন দাসের চেয়ে বেশি রান করেছেন শুধু ইংল্যান্ডের জো রুট।
গত ১২ মাসে কোনও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটনের চেয়ে বেশি রান তুলতে পারেননি।
দেখুন কার কী অবস্থান-
লিটন দাস- ৭১৫ রান
রিশভ পন্ত (ভারত)- ৫৬২ রান
অ্যালেক্স ক্যারি (অস্ট্রেলিয়া)- ৩৬২ রান
জশুয়া ডি সিলভা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- ৩৩৯ রান
কাইল ভেরেনে (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ৩০৪ রান
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ঢাকা টেস্টে ১৪১ রানের ইনিংস খেলে লিটন জানিয়ে রাখলেন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ভাবেন না তিনি। টেস্টে সাত নম্বরে নেমে ২১ ইনিংস খেলেছেন। ছয়ে ১৫ বার। পাঁচে ছয়বার। দুইয়ে চারবার ও তিনে নামেন একবার। এরমধ্যে ছয় নম্বর নেমে ১ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটিতে তুলেছেন ৬১৫ রান। লিটন সবচেয়ে বেশি ২১ ইনিংস খেলেছেন সাতে। ঢাকা টেস্টেও এই জায়গায় খেললেন। পেয়ে গেলেন এই পজিশনে প্রথম সেঞ্চুরি। সবচেয়ে বেশি ৮৩৪ রান করেছেন এই পজিশনে নেমে। ছয় নম্বরে নেমে ৬১৫, আটে ৮৩, তিনে ৩৩, দুইয়ে ৭২, ওপেনিংয়ে নেমে তুলে ৮১।
সেই লিটন বলছিলেন, ‘দেখুন, সমালোচনা হবেই। আমার যেহেতু জীবনটা ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে, ভালো খেললে আপনারা বাহবা দেবেন বা জনগন দেবে, খারাপ খেললে সেইম জিনিসটাই করবে (সমালোচনা)। কারণ তারা চায়, আমি পারফর্ম করি। এই ব্যাপারটা আমাকে আর নাড়া দেয় না। আমি চেষ্টা করি, আমি কতখানি মনোযোগী অনুশীলনে, প্র্যাকটিস মেথডটা কী, আমার প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করছি কিনা। প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে আমি নিজের কাছে অপরাধী যে, অনুসরণ করছি না। আমি স্রেফ আমার প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করি। ফলাফল ওপরওয়ালার হাতে।’
Discussion about this post