এবারের ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে এ নিয়ে দু’বার মুখোমুখি হল শেখ জামাল-ব্রাদার্স। প্রথমবার বিকেএসপিতে, ৯ নভেম্বর। সেখানে ব্রাদার্স জিতে ৬ উইকেটে। কিন্তু ম্যাচ শেষে শেখ জামাল সিসিডিএমের কাছে একটা প্রতিবাদপত্র লেখে। তারা দাবি জানায়-এ ম্যাচে ব্রাদার্স সাসপেন্ড থাকা খেলোয়াড় সোহরাওয়ার্দী শুভকে খেলিয়েছে। শুভ ম্যাচে ব্রাদার্সের হয়ে অধিনায়কত্ব করেন। ৩ উইকেট নিয়ে দলের ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। শেখ জামালের দাবি যেহেতু ব্রাদার্স এ ম্যাচে সাসপেন্ড থাকা খেলোয়াড় শুভকে খেলিয়েছে তাই বাইলজ অনুযায়ী ম্যাচের পুরো পয়েন্ট কেটে এখন সেই পয়েন্ট শেখ জামালের খাতায় যোগ করা উচিত।
শেখ জামালের এ প্রতিবাদটা শেষমেশ অনেক কাজে দেয়।
সিসিডিএম এ সমস্যার সমাধানে রায় দেয়-ম্যাচটা আবার হবে। আর শাস্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়কে ম্যাচে খেলানোর অপরাধে ব্রাদার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী শুভও ২০ হাজার টাকা জরিমানা গোনেন। ফের হওয়া ম্যাচটি সোমবার মিরপুর শেরে বাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচে জিতল শেখ জামাল ৭০ রানে। সেই সঙ্গে নাম লেখাল সুপার লিগে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন বিদায় নিল প্রথম রাউন্ড থেকে।
টস জিতে শেখ জামাল ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮২ রানের বড় স্কোর গড়ে। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবদুর রাজ্জাক মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করেন রাজ্জাক। এর আগে জহুরুল ৬৯, মুশফিকুর ৪৩, ক্রুক ৫৬, চিগুম্বুরা ৫০ রান করেন।
বড় রান তাড়া করতে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়ন কোনো সময়ে ম্যাচ জয়ের ধারেকাছে যেতে পারেনি। মিডল অর্ডারে নাফিস ইকবাল (৬২) ও অলক কাপালি (৪৫) ছাড়া দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউ টিকতে পারেননি। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রাজ্জাক বোলিংয়েও দিনের সেরা পারফরম্যান্স দেখান। ৮.২ ওভারে ৩২ রানে ৩ উইকেট পান রাজ্জাক। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইনিংস থামে ২১২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল : ২৮২/৭, ৫০ ওভার (জহুরুল ৬৯, মুশফিকুর ৪৩, ক্রুক ৫৬, চিগুম্বুরা ৫০*, রাজ্জাক ৩৯*; কাপালি ৩/৩৪, রনি ২/১৫)। ব্রাদার্স : ২১২/১০, ৪৬.২ ওভার (নাফিস ৬২, কাপালি ৪৫, এরভিন ৩৪; রাজ্জাক ৩/৩২, তানভির ২/৯)। ফল : শেখ জামাল ৭০ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : আবদুর রাজ্জাক।
Discussion about this post