সিলেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে চিত্রটা একদম পরিষ্কার-বাংলাদেশ চাপে, আর জিম্বাবুয়ে দাপটে। ব্যাট হাতে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে কোনো সাফল্য না পাওয়ায়, দিন শেষে পুরোপুরি পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। ১০ উইকেট হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৬৭ রান, প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে এখন কেবল ১২৪ রানে।
দিনের শুরুতে উইকেট সহজ ছিল না ঠিকই, তবে বাংলাদেশি ব্যাটারদের খামখেয়ালি মানসিকতা আবারও ধরা পড়ল। ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় ফিরে যান দ্রুত। প্রথম সেশনে লাঞ্চ পর্যন্ত দলকে সামাল দেন শান্ত ও মুমিনুল। এই দুজন গড়েন ৬৬ রানের জুটি।
নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ রানে ফিরলে ভাঙে জুটির ভিত। এরপর থেকে যেন একের পর এক উইকেট পড়তেই থাকে। মুশফিক, মিরাজ, আফিফ, তানজিমদের ব্যাটে কোনো অবদান নেই বললেই চলে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মুমিনুল হক, যিনি তুলে নেন ৫৬ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস-তবে সেটিও দলকে বড় স্কোরে নিতে যথেষ্ট ছিল না।
শেষ দিকে জাকের আলি ও হাসান মাহমুদের ৪১ রানের ছোট জুটিটাই ইনিংসের একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ, কিন্তু সেটি বড় কিছু গড়ার আগেই থেমে যায়। বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯১ রানে, আর সেই সঙ্গে মাথায় ভেসে ওঠে ২০০১ সালের সেই টেস্ট, যেখানে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১০৭ রানে অলআউট হয়েছিল দল।
১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর প্রত্যাশা ছিল বোলাররা কিছুটা জবাব দেবে। কিন্তু সেটি হয়নি একেবারেই। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান দারুণ নিয়ন্ত্রণে শুরু করেন ইনিংস।
বেনেট খেলেছেন আগ্রাসী ভঙ্গিতে, করেছেন ৩৭ বলে ৪০ রান। অন্যদিকে কারান ধীরগতিতে ১৭ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। কোনো সুযোগই দিতে নারাজ এই জুটি। বাংলাদেশি বোলারদের লাইন-লেন্থ ছিল এলোমেলো, আর তাতেই প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়েই জিম্বাবুয়ে তোলেছে ৬৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (জয় ১৪, সাদমান ১২, মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, মুশফিক ৪, জাকের ২৮, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, খালেদ ৪*, নাহিদ ০; এনগারাভা ১৪-২-৩৭-০, মুজারাবানি ১৯-৪-৫০-৩, নিয়াউচি ১৫-২-৭৪-২, মাধেভেরে ৩-২-২-২, মাসাকাদজা ১০-৪-২১-৩)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬৭/০ (বেনেট ৪০*, কারান ১৭*; হাসান ৫-২-১৬-০, নাহিদ ৪.১-০-২১-০, খালেদ ২-০-১১-০, মিরাজ ৩-১-১০-০)
# ১ম দিন শেষে ১২৪ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে।
Discussion about this post