কথায় আছে একটা সাফল্য আরেকটির ভিত গড়ে দেয়! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সফরের প্রথম ওয়ানডে জিতে তাইতো বাংলােেশের চোখ এখন সিরিজের ট্রফিতে। প্রোটিয়াদের মাঠে দাপট দেখিয়ে প্রথম জয় তুলেছে টাইগাররা। দল ৩১৪ রানের পুঁজি পায়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করে ২৭৬ রানে। প্রথমবার প্রোটিয়াদের মাঠে তাদের মাটিতে হারাল ৩৮ রানে।
এই সাফল্যের অন্যতম রূপকার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে তার প্রশংসাকেরতে গিয়ে অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা কমপ্লিট গেম বাই এভরিওয়ান। এখানে সবার অবদান ছিল। ব্যাটিংয়ে আমাদের ভালো একটা উদ্বোধনী জুটি হয়। সাকিব ব্রিলিয়ান্ট ইনিংস খেলেছে। ইয়াসিরের ইনিংসটি অবিশ্বাস্য। রিয়াদ ভাইয়ের ছোট ২৫ রান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আফিফের একটি চার ও একটি ছক্কা এবং মিরাজের দুইটি ছক্কাও সমান গুরুত্বের ছিল। একজন পয়েন্ট আউট করতে পারবো না যে ওর কারণেই জিতেছি। এটা এমন ম্যাচ ছিল যেখানে সবাই অবদান রেখেছে। সবারই। ভালো ফিল্ডিং হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং হয়েছে। সব কিছুর দিক থেকে খুব খুশি।’
ব্যাটসম্যানদের পর সাফল্য পেলেন বোলাররাও। তার পথ ধরেই জয়। অধিনায়ক তামিম বলেন,‘বোলিংয়ে আমরা যখনই শুরুতে উইকেট পাই বুঝতে পারছিলাম যে আমরা ম্যাচে আছি। কিন্তু এই মাঠ এমন যেখানে তিনশ রানও তাড়া করা যায়। কিন্তু পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছে এক কথায় রোমাঞ্চকর। মিরাজ যেভাবে ফিরে এসেছে তা দারুণ ছিল।’
এই জয়ের পর সিরিজে চোখ তামিমের। ২০ মার্চিসিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। শেষ ওয়ানডে ২৩ মার্চ। এর একটি জিতলেই সিরিজ বাংলাদেশের। তামিম বলছিলেন, ‘আমরা সিরিজটি জিততে পারি। এজন্য প্রতিটি সুযোগ আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কারণ তারা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাইবে।’
আন্ডারডগ হিসেবে সফরে গেলেও এখন বাংলাদেশ ঠিকই হয়ে উঠেছে ফেভারিট!
Discussion about this post