ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইঙ্গিতটা ছিল আগেই। বিপ টেস্টের পথে হাঁটবে না বাংলাদেশ। এবার ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল পরীক্ষায় আসছে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়েই এই পথে হাঁটবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ট্রেইনারদের প্রধান নিক লি জানালেন এখন থেকে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট দিয়েই নির্ধারিত হবে টাইগারদের ফিটনেস।
অবশ্য বিপ টেস্ট ও ইয়ো-ইয়ো টেস্ট অনেকটা একইরকম। মূল পার্থক্য, বিপ টেস্টে বিভিন্ন ধাপে একটানা দৌড়াতে হয়। ইয়ো-ইয়ো টেস্টে বিভিন্ন ধাপের মধ্যে ৫-১০ সেকেন্ড বিরতি থাকে। যদিও ধাপগুলোতে পর্যায়ক্রমে কমে আসে দৌড়ানোর সময়।
ক্রিকেটের নামী ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে নিক লি বলেন, ‘টেস্টের অন্য দশ জাতীয় দল ইয়ো-ইয়োকে তাদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এ কারণেই আমার জন্যে অথবা অন্যসব দলের ট্রেইনার, যারা ভবিষ্যতে কাজ করতে আসবেন, তারা খেলোয়াড়দের পার্থক্যটা সহজে ধরতে পারবেন। একটা দল আছে শীর্ষ দশে, যারা ইয়ো-ইয়ো ব্যবহার করে না। আর এটা ব্যবহার করার পর আমরা এখন নিজেদের সঙ্গে ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো দলের তুলনা যথাযথভাবে করতে পারব। একইসঙ্গে নির্বাচকদেরকে প্রতিবেদন ঠিকঠাক দিতে পারবো আমরা।’
ইয়ো-ইয়ো কার্যকরী না হলে বিপ টেস্টে ফিরতে চান নিক লি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিক্যাল পারফরমেন্স এর প্রধান ইংলিশ ফিটনেস ট্রেইনার জানালেন, ‘এ মূহুর্তে আমি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি কখনো কোনো কিছুতেই না বলি না, যদি এটা কাজ না করে তাহলে অন্য পদ্ধতিও ব্যবহার করতে প্রস্তুত আমি।’
ফিটনেস পরীক্ষায় ইয়ো ইয়ো টেস্টের প্রচলন শুরু ১৯৯০ সালে। তবে ক্রিকেটে ইয়ো ইয়ো টেস্টের প্রচলন শুরু ২০১৭ সালে। শুরুটা করেন ভারতের স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ শংকর বসু।
Discussion about this post