শেষটাতেও সেই একই গল্প। হলো না। পারল না বাংলাদেশ দল। ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ শূন্য হাতে বিদায় নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার নিজেদের শেষ ম্যাচটাতে অবশ্য লড়াই করে হারল সাকিব আল হাসানের দল। টাইগারদের ৭ উইকেটে হারাল পাকিস্তান।
যদিও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে শেষটাতে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় বাংলাদেশ দল। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ৮ রান। বোলিংয়ে তখন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু তিনি সেই রান আটাকাতে পারেন নি। ১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখে পাকিস্তান।
এর আগে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে তুলে ১৭৩ রান। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে পথ দেখান দলকে। ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে এই রান সংগ্রহ করে। যদিও শেষটাতে রান পেলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। এই ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানের বেশি করতে পেরেছে ১৩ ম্যাচে। যে
বাংলাদেশকেবড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর লিটন ও সাকিব। ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৯ রান করেন তিনে নামা লিটন। আর চারে নেমে সাকিব তুলেন ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৮।
ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ ছিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর পাকিস্তান রিজওয়ান ও বাবর আজমের ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে এগিযে যায়। তবে হাসান মাহমুদ জোড়া ধাক্কা দিলেও কিছুটা প্রাণ আসে ম্যাচে। কিন্তু রিজওয়ান আর নওয়াজের ব্যাটে সর্বনাম। তাদের ৩৬ বলে ৬৪ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। রিজওয়ান ইনিংসের সাত বল বাকি থাকতে আউট হলেও নওয়াজ ২০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। রিজওয়ান ৫৬ বলে চারটি চারে ৬৯ রান করেন।
এবার বিশ্বকাপ মিশনে উড়ে যাবে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ায় আসল লড়াইয়ের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও আছে টাইগারদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (শান্ত ১২, সৌম্য ৪, লিটন ৬৯, সাকিব ৬৮, আফিফ ১১, ইয়াসির ১, নুরুল ২*, সাইফ ১*; নাসিম ৪-০-২৭-২, হাসনাইন ৪-০-৩৮-০, ওয়াসিম ৪-০-৩৩-২, শাদাব ৪-০-৩১-০, নাওয়াজ ৩-০-৩৭-১, ইফতিখার ১-০-৭-০)
পাকিস্তান: ১৯.৫ ওভারে ১৭৭/৩ (রিজওয়ান ৬৯, বাবর ৫৫, হায়দার ০, নাওয়াজ ৪৫*, আসিফ ২*; হাসান ৪-০-২৭-২, তাসকিন ৪-০-৩২-০, শরিফুল ৪-০-৩০-০, সাইফ ৩.৫-০-৫৩-০, সাকিব ৩-০-২৮-০, সৌম্য ১-০-৬-১)
ফল: ৭ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ রিজওয়ান
Discussion about this post