প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পর এখন আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই বাংলাদেশ দলের সামনে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া টাইগারদের সামনে আজ ডাম্বুলায় সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। এখানে হারলেই সিরিজ হাতছাড়া-এই সহজ সমীকরণ নিয়েই নামতে হচ্ছে লিটন দাসের দলকে।
তবে এই সহজ সমীকরণ বাস্তবে মোটেও সহজ নয়। বিশেষ করে যখন দলের অধিনায়কই ভুগছেন দীর্ঘদিনের অফ ফর্মে। লিটনের ব্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই নেই কোনো আস্থার প্রতিচ্ছবি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬ রান করে এলবিডব্লিউ হওয়া লিটনের ইনিংসটা ছিল আত্মবিশ্বাসহীনতায় মোড়ানো। কোচিং স্টাফ এখনো লিটনের পাশে থাকলেও, এই ম্যাচে যদি তিনি জ্বলে না উঠেন, তাহলে সিরিজ তো নয়ই-নিজের নেতৃত্ব নিয়েও উঠতে পারে বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটও ব্যর্থ ছিল প্রথম ম্যাচে। বিশেষ করে পাওয়ারপ্লেতে কোনো চাপই তৈরি করতে পারেনি পেসাররা। নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের মতো আগ্রাসী ব্যাটাররা শুরুতেই ম্যাচটা নিজেদের করে নেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া জরুরি। শুরুতে উইকেট না পেলে লঙ্কানরা যে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ডাম্বুলার ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে বড় স্কোর ঠেকাতে হলে পেসারদেরই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
দলে কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে। মিডল অর্ডারে জায়গা পেতে পারেন জাকের আলী অনিক, যার সাম্প্রতিক টি–টোয়েন্টি পারফরম্যান্স বেশ স্থিতিশীল। তিনি ফিরলে বাদ পড়তে পারেন নাঈম শেখ বা তাওহিদ হৃদয়। তাসকিন আহমেদ খরুচে হওয়ায় তার জায়গায় ঢুকতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান বা শরিফুল ইসলাম। পেস আক্রমণে সাইফউদ্দিন ও তানজিম হাসান সাকিবের থাকা প্রায় নিশ্চিত। স্পিন বিভাগে মেহেদী মিরাজ টিকে থাকলেও শেখ মেহেদী হাসান হয়তো এবারও একাদশের বাইরে থাকবেন।
ডাম্বুলার পাহাড় আর লেকের সৌন্দর্যের পাশে আজ ক্রিকেট মাঠটাই হয়ে উঠবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। সিরিজে বাঁচতে হলে আজ জিততেই হবে টাইগারদের। নয়তো শ্রীলঙ্কা সফরের গল্পটা থেমে যাবে হতাশার এক অধ্যায়ে।
Discussion about this post